Cyclone Montha: পাহাড়ে ফের ধসের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় মন্থা পাকা ধানে ‘মই’ দিতে পারে

Impact of cyclone Montha: কিছুদিন আগেই বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। এখন ফের মন্থার প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা। সেখানকার নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে।

Cyclone Montha: পাহাড়ে ফের ধসের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় মন্থা পাকা ধানে মই দিতে পারে
শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Oct 29, 2025 | 9:05 AM

কলকাতা: অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। উপকূল ছাড়িয়ে সে রাজ্যের ভিতরে প্রবেশ করেছে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অক্টোবরের শেষে বাংলার বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে ফের দুর্যোগের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতার আকাশ মেঘলা রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধেয় অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মন্থা আছড়ে পড়ার পর ঝড় ও বৃষ্টির জেরে সেরাজ্যে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। উপকূলবর্তী কোনাসীমা জেলায় একটি বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে এক বৃদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। ওই জেলাতেই ঝড়ে নারকেল গাছ উপড়ে একটি অটোতে পড়ে এক নাবালক ও অটোচালক আহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব পড়েছে অন্ধ্র প্রদেশের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার ১৫টি জেলায়।

আবহবিদরা বলছেন, অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার পর কিছুটা শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। শক্তি হারিয়ে ছত্তীসগঢ় ও বিহারের দিকে সরে আসতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার একাধিক জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কিছুদিন আগেই বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। এখন ফের মন্থার প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা। সেখানকার নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে।

উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে। আর কার্তিক মাসে এই ভারী বৃষ্টির ফলে পাকা ধান নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। আলুচাষ পিছিয়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ফলনে। এদিন সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঝোড়ো হাওয়াও বইছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে প্রতিটি মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বৃষ্টির জেরে নিম্নাঞ্চলে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে যাতে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে সব জেলাশাসককে সতর্ক করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। গতকাল ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন তিনি। সেখানে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেন। উত্তরবঙ্গের জেলাশাসকদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদেরও সরাতে বলেছেন।