Madan Mitra: মদন মিত্রকে চেনেন? জয়ন্ত কিন্তু বলছেন…

Madan Mitra: অনেকে বলেন একসময়ে আড়িয়াদহের মতো এলাকাগুলি থেকে কামারহাটির নিয়ন্ত্রণ হতো। একসময় এখানে ছিল বামেদের দাপট। পরে পালাবদলের পর তৃণমূলের দাপট। রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পাশাপাশি মাশলম্যানদেরও পালাবদল ঘটতে থাকে।

Madan Mitra: মদন মিত্রকে চেনেন? জয়ন্ত কিন্তু বলছেন…
কী বলছেন জয়ন্ত? Image Credit source: Facebook

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 12, 2024 | 5:22 PM

কলকাতা: জয়ন্তর গুরু কে? কার বিদ্যায় ‘জায়ান্ট’ হয়ে উঠেছে জয়ন্ত? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। জয়ন্ত গ্রেফতার হতেই কিন্তু ভয়ে কালঘাম ছুটছে অনেক তৃণমূল নেতারই। নিরাপত্তাহীনতায় যে ভুগছেন তা বলছেন প্রকাশ্যেই। চিন্তায় কপালের ভাঁজ চওড়া হয়েছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। তাঁর সঙ্গে জয়ন্তের পরিচয় নিয়েও হয়েছে বিস্তর জলঘোলা। সামনে এসেছে ছবি। যা নিয়েও হয়েছে বিতর্ক। সেই মদনকে কী চেনেন জয়ন্ত? জয়ন্ত কিন্তু বলছেন, মদনের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। নেতাদের সঙ্গে লোকাল ছেলেদের ছবি থাকেই। সোজা কথায়, নেতাদের সঙ্গে লোকাল ছেলেদের ছবি থাকে, এতে অন্য কিছু খোঁজার বিষয় নেই। এদিন এমনটাই যেন হাবেভাবে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন জয়ন্ত। 

অনেকে বলেন একসময়ে আড়িয়াদহের মতো এলাকাগুলি থেকে কামারহাটির নিয়ন্ত্রণ হতো। একসময় এখানে ছিল বামেদের দাপট। পরে পালাবদলের পর তৃণমূলের দাপট। রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পাশাপাশি মাশলম্যানদেরও পালাবদল ঘটতে থাকে ২০১১ সালের পর থেকে। ক্ষমতা বাড়তে থাকে জয়ন্তর। শোনা য়ায় কখনও বিধায়ক, কখনও সাংসদ, সব জায়গাতেই অবাধ যাতায়াত চলতে থাকে জয়ন্তর। 

এদিকে এরইমধ্যে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আতঙ্কে রয়েছেন কামারহাটির প্রাক্তন কাউন্সিলর সুবীর বোস। জয়ন্ত গ্রেফতার হতে সামনে আসছে একের পর এক ভিডিয়ো। তেমনই একাধিক ভিডিয়োতে জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে সৌগত রায়, মদন মিত্রদের। একটি ভিডিয়োতে তো আবার জয়ন্তকে মালা পরিয়েও দিতে দেখা যায় মদন মিত্রের ছেলে শুভরূপ মিত্রকে। যা নিয়েও চলছে বিস্তর চাপানউতোর। জয়ন্তর বার্থ ডে পার্টিতে হাজির হতে দেখা যায় মদন মিত্র ও তাঁর পুত্রবধূকেও। ফেসবুকে ঘুরছে এই সব ভিডিয়ো। যদিও মদনের দাবি, জয়ন্ত সঙ্গে যা পরিচয় সবটাই এলাকার ছেলে হিসাবে। তার বাইরে কিছু নয়। এরইমধ্যে এদিন মদনকে নিয়ে করা জয়ন্তর মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ।