
কলকাতা: সকাল থেকে ঘাটে ঘিটে উপচে পড়ছে তর্পণের ভিড়। দেখা নেই বৃষ্টির। কিন্তু আবহাওয়া দফতর বলছে বেলা বাড়লেই ঘুরবে খেলা। দুপুরের পর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতায় এদিন দিনভরই আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মিলবে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপনাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৭৫ থেকে ৯৭ শতাংশের মধ্যে। যার জেরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী বুধবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উপকূলের জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি ক্রমশ কমবে।
সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। মঙ্গলবারে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ও বাঁকুড়ার কিছু অংশে।
অন্যদিকে রেহাই পাচ্ছে না উত্তরবঙ্গও। রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে সব জেলাতেই। দার্জিলিং থেকে মালদহ সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসও দেখা যেতে পারে। তবে সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ সামগ্রিকভাবে কমবে। তুলনামূলকভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও দুই দিনাজপুরে।
হাওয়া অফিস বলছে উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছাবে। একইসঙ্গে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নাগাদ। এটিই তারপরের দুই থেকে তিনদিনে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ফলে তার জেরে মুখে পুজোর শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। সে ক্ষেত্রে চতুর্থী থেকেই ফের ভালরকম বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। অবস্থা একই থাকলে ৩০ থেকে ২ পর্যন্ত বৃষ্টি বাড়বে এবং ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্তও ভালই ভিজতে পারে বাংলা।