
কলকাতা: বাঙালির সংস্কৃতির ‘তীর্থক্ষেত্র’ শান্তিনিকেতন। তাই শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ তকমা প্রাপ্তি বাঙালির জন্য গর্বের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দলমত নির্বিশেষে আপামর বাঙালি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর জন্য গর্ব করলেও হেরিটেজ তকমা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ১৯২১ সাল থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু, তার স্বীকৃতিতে কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে কার্যত তরজা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালের আচার্য খোদ প্রধানমন্ত্রী। হেরিটেজ তকমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্বের দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী এভাবে পশ্চিমবঙ্গের গৌরব পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেননি। দুর্গা পূজা হেরিটেজ তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকারের কৃতিত্ব ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
শুধু কেন্দ্রকে কৃতিত্ব দেওয়াই নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলতে শুরু করছে বঙ্গ বিজেপি। বিশ্বভারতীর হেরিটেজ তকমা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ভারত তথা বাংলার জন্য গর্বের বিষয়। তবে যেন তৃণমূল কালচারের ছোঁয়া না লাগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বভারতীতে উপাচার্যকে কাজ করতে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, তৃণমূলও এটা বোঝাতে পিছপা হচ্ছে না যে বিশ্বভারতীর উন্নতিতে রাজ্য সরকারের অবদান কতটা। ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে বিশ্বভারতীর নাম ঘোষণা করার পরই টুইটে সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১২ বছরে রাজ্য় সরকার যে বিশ্বভারতীর পরিকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, সে কথা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন তিনি।