কলকাতা: এক মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায়। এখানকার ডক ইস্ট বাউন্ডারি রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর দেহ। রবিবারের এই ঘটনায় তদন্তে যায় হোমিসাইড বিভাগ। এছাড়াও খবর পাওয়ার পর থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবতীর নাম আনজুয়ারা খাতুন।
এলাকার লোকজন জানান, আনজুয়ারার স্বামী তেমন কোনও কাজ করেন না। একাংশের দাবি, আনজুয়ারা একাই থাকেই এই বাড়িতে। কখনও কখনও স্বামী আসেন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। শনিবার রাতেও এসেছিলেন স্বামী। এরপর রবিবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয় আনজুয়ারার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি কম্বল চাপা দেওয়া ছিল আনজুয়ারার শরীরে। ঠোঁটের কোণা দিয়ে রক্তও পড়ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, স্বামীকে দেশের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য থালা বাসন কিনে দিয়েছিলেন আনজুয়ারা। মোবাইল ফোনও কিনে দেন।
নিহতের মাসি জাহানারা বলেন, “জল নিয়ে ফিরছি একজন বলল, তোমার বোনের মেয়ে ঘুমিয়ে আছে ওঠেনি। ছুটে গিয়ে গায়ে হাত দিয়ে দেখি ঠান্ডা শরীর। গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। কম্বল চাপা দিয়ে রেখেছিল। পরে শুনি বর এসেছিল, চলে গিয়েছে। এখন তো স্বামীর খোঁজ নেই। সন্দেহ তো জামাইকেই হচ্ছে।”
অরবিন্দকুমার পাসোয়ান নামে আরেক বাসিন্দার কথায়, “স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শুনছি ওনার স্বামী রাত থেকে বেপাত্তা। গতকাল রাতেই আসে। শুনেছি মুখ থেকে রক্ত বের হয়। কম্বল চাপা দেওয়া ছিল।” খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।