ধোঁয়া বের করতে উন্নত প্রযুক্তি, দ্রুত আগুন নেভাতে লেনিন সরণিতে বাড়ল ইঞ্জিনের সংখ্যা
অভিবন পদ্ধতিতে, ভ্য়াকুয়ম ক্লিনার দিয়ে বহুতল থেকে বের করা হল কালো ধোঁয়া। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের অনুমান, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুদামজাত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেড়ঘণ্টার ম্যারাথন চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন
সূত্রের খবর, লেনিন সরণির এই গোটা রাস্তা জুড়েই রয়েছে দোকান ও বহুতল। রয়েছে একাধিক ছোট বড় গুদাম। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। ডি প্লাস ফোরের অত্যন্ত পুরনো এই বহুতলটিতে নেই কোনও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছিন্ন করা হয় এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। বহুতলে মজুত তামার তার-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। একতলার বন্ধ গোডাউন থেকে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। খালি করা হয়েছে সমস্ত দোকান। উদ্ধারকার্যে গিয়ে অসুস্থ এক দমকল কর্মী। ঘটনাস্থলে ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। স্থানীয় এক দোকনদার জানিয়েছেন, আগুন লাগতেই সকলে মিলেই বেরিয়ে আসেন বাইরে। বহুতলের মধ্যেও কেউ আটকে নেই বলে জানান তাঁরা। সকলকেই উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছয় ৬টি ইঞ্জিন। তারপরে যায় আরও তিনটি ইঞ্জিন। শেষে পৌঁছয় আরও একটি ইঞ্জিন।
সম্প্রতি, স্ট্র্য়ান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডের পরেই অতি তৎপর হয়েছে দমকল। শনিবার, লেনিন সরণি অগ্নিকাণ্ডে দেখা গেল কালো ধোঁয়া থেকে বাঁচতে মাস্ক পরেই আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাস্ক ছাড়াও কর্মীদের জন্য আনা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ধোঁয়া থেকে বাঁচতে চোখে পরার জন্য বিশেষ গ্লাস। দমকল সূত্রে খবর, স্ট্র্য়ান্ড রোডের কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে কড়া নজর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে, কালো ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও তাঁর দেহরক্ষী।
দেখুন ভিডিয়ো