উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া: দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। বাজি কারখানায় অভিযান শুরু করল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। মঙ্গলবার নৈহাটির বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালায়
নৈহাটি ও শিবদাসপুর থানার পুলিশ।
শিবদাসপুর থানার দেবক,ভবাগাছি এবং মামুদপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালায় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ দল। সন্দেহজনক ২৫ টি বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও কারও বাড়ি থেকে কোন বাজি বা বাজি তৈরির মশলা না মেলেনি। তবে ওই এলাকাগুলিতে ব্যাপক নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, নদিয়ার রানাঘাটেও বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় কল্যাণী থানার পুলিশ। ডিএসপির নেতৃত্বে বাজি গোডাউনে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মঙ্গলবার কল্যাণীর শহিদপল্লি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাজি গোডাউনে হানা দেয় কল্যাণী থানার বিশাল বাহিনী। একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আগামী দিনে শব্দবাজি উদ্ধারে পুলিশের এই অভিযান চলবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত রাজ্যবাসী। পুলিশ প্রশাসনের মুখ পুড়েছে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় নীলগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ও দত্তপুকুর থানার আইসিকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। যাতে রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য তৎপর পুলিশ প্রশাসন।