সাজা এখন সাজা ‘নকল’ চার্লির। একালের বহুরূপী। ঠাকুর-দেবতা সাজলেও বেশি সাজেন চার্লি চ্যাপলিন। ঠাকুর-দেবতার বাজার নেই। অনুষ্ঠান বাড়িতে চার্লি সেজে দু পয়সা ইনকাম হয় । রোজগারের আশায় এখনো বসে রবীন্দ্রনাথ থেকে মোদী সবকিছু সাজারই এলেম অর্জন করেছেন ‘নকল’ চার্লি চ্যাপলিন কৃষ্ণ বৈরাগী। “আমি শিল্পী। সাজাই আমার শিল্প। অন্য কাজ করতে পারব না। এই কাজ করেই একার সংসার চালাই। কিন্তু করোনার চক্করে হাতে একেবারেই কাজ নেই। অনুষ্ঠান বাড়িও বন্ধ। গুটিকয়েক লোক নিয়ে নমো-নমো করে পালন হচ্ছে। চার্লিকে আর কে ডাকে?” মলিন হেসে বলেন ‘চার্লি’। কেষ্টপুরের ভিতরে এক চিলতে ঘরে তিলমাত্র জায়গা নেই। কোথাও কিশোরকুমারের কালো মোটা ফ্রেমের চশমা, তো কোথাও রবীন্দ্রনাথের দাড়ি, কোথাও মোদীর কোট কিংবা চার্লি চ্যাপলিনের টুপি আর লাঠি।