প্রয়াত মিলখা সিং : একনজরে তাঁর কীর্তি
কমনওয়েলথ গেমসে মিলখা গড়েছিলেন ইতিহাস। স্বাধীন ভারতের প্রথম কোনও অ্যাথলিট হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে নজর কাড়েন উড়ন্ত শিখ।
মোহালিঃ “আপনি জীবনে যে কোনও কিছু অর্জন করতে পারেন। এটা নির্ভর করে আপনি কতটা মরিয়া তার উপর।” মিলখা সিংয়ের (MILKHA SINGH)জীবনের এক একটা উক্তি বর্ষার তীব্র জোরালো ফোঁটার মত গায়ে বেঁধে যেন। বদলে দেয় একেকটা মানুষেক জীবনদর্শনটাই। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে(TRACK AND FIELD) সাফল্য দিয়ে বিচার করা যায়না মিলখা সিংকে। মিলখা একটা দর্শনের নাম। মিলখা মোটিভেশনের প্রতিরূপ।
#MilkhaSingh Lost a friend for nearly five decades. As a young runner myself, met him first nearly five decades ago in Chandigarh during north zone cross country races. And the relationship grew stronger. RIP Legend @Vimalsports @vijaylokapally @nivmook @JeevMilkhaSingh pic.twitter.com/UG1t9d0vQP
— NORRIS PRITAM (@pritamn) June 18, 2021
একবার নজর রাখি, উড়ন্ত শিখের কেরিয়ারের সাফল্য ব্যর্থতার দিকে। প্রথমে নজর রাখি অলিম্পিকে(OLYMPIC) মিলখা সিংয়ের পারফরম্যান্সে। অলিম্পিকে ৩ বার অংশগ্রহণ করেছিলেন মিলখা সিং। যার মধ্যে ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে (ROME OLYMPIC)২০০ মিটারের ফাইনালে একটুর জন্য হাতছাড়া হয় পদক(MEDAL)। চতুর্থ হন মিলখা। ভারতীয় ক্রীড়ায় যা শোকগাঁথা হিসেবে রয়ে গিয়েছে আজও।
এশিয়ান গেমসে তাঁর সাফল্য ছিল নজরকাড়া। মোট ৪টি সোনা জিতেছিলেন এশিয়ান গেমসে।
কমনওয়েলথ গেমসে মিলখা গড়েছিলেন ইতিহাস। স্বাধীন ভারতের প্রথম কোনও অ্যাথলিট হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে নজর কাড়েন উড়ন্ত শিখ।
রোম অলিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড়ে যে সময় মিলখা নিয়েছিলেন, তা জাতীয় রেকর্ড হিসেবে অক্ষুন্ন ছিল ৪০ বছর ধরে।
১৯৫৮ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন মিলখা সিং। শুরুতেই বলেছি, মিলখার জীবন ছিল এক অনুপ্রেরণা। সমাজের যে কোনও হেরে যাওয়া মানুষের কাছে কাছে উঠে দাঁড়ানোর মোক্ষম ট্যাবলেট। মিলখাকে পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যানে তাই বেঁধে রাখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।