Sehgal Hossain: ‘৬ বছর শিক্ষকতা করে ৩৬ লক্ষের গয়না?’, সায়গলের স্ত্রীর গয়নার পরিমাণ দেখে চকিত বিচারক

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 07, 2023 | 5:30 PM

Sehgal Hossain: সায়গলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু বলেন, "সায়গলের স্ত্রীও চাকরি করেন। দু'জনের আয় দিয়ে গয়না কেনা হয়েছে। ২০১৪ র টেট পরীক্ষা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন স্ত্রী।"

Sehgal Hossain: ৬ বছর শিক্ষকতা করে ৩৬ লক্ষের গয়না?, সায়গলের স্ত্রীর গয়নার পরিমাণ দেখে চকিত বিচারক
আদালতে সায়গল হোসেন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আসানসোল: ৬ বছর শিক্ষকতার চাকরি করে কি ৩৬ লক্ষের সোনার গয়না বানানো সম্ভব? প্রশ্নটা করে নিজেই চমকে উঠেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। গরু পাচার মামলায় বুধবার সায়গল হোসেনকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়। এদিনের শুনানির সময়ে সায়গলের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত সোনা-রুপোর গয়নার হিসাব বিচারকের সামনে পেশ করে সিবিআই। আসানসোল সিবিআই আদালতে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বাজেয়াপ্ত করা গয়নার তালিকা পেশ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সামনে। এই মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার আগের তিনটি গয়না উদ্ধারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।

সায়গলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গয়নার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও ১৭ হাজার টাকা মূল্যের রুপোর গয়না রয়েছে। ওই তালিকা থেকেই সিবিআই জানায়, সায়গলের কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফেরত দিতে চাওয়া গয়না বাদে বাকি গয়নাগুলির হয় রশিদ পাওয়া যায়নি। আবার যে রশিদ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ভুয়ো বলে দাবি করেছে সিবিআই।

যার ফলে ওই গয়না ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। এইসময় সায়গলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু বলেন, “সায়গলের স্ত্রীও চাকরি করেন। দু’জনের আয় দিয়ে গয়না কেনা হয়েছে। ২০১৪-র টেট পরীক্ষা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান স্ত্রী।”

সেসময়েই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “কেউ চাকরি করে ৬ বছরে ৩৬ লক্ষ টাকার গয়না করতে পারেন?” এরপরই সায়গলের আইনজীবীর দাবি খারিজ হয়ে যায়। তাই আদালতের সিদ্ধান্তে মোট বাজেয়াপ্ত সাড়ে ৩৬ লক্ষ টাকার গয়নার মধ্যে শুধু ৯০ হাজার টাকার গয়না ফেরত পাবেন সায়গলের স্ত্রী।

উল্লেখ্য, এবার তিহাড়ে সায়গল ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। আসানসোল সিবিআই আদালতে একথা জানান তদন্তকারী অফিসার (আইও) সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি জানান, এর আগে আলাদা আলাদা করে জেরা করা হলেও মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি। মে মাসের শেষে তিহাড়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার নথি বিচারকের সামনে তুলে ধরেন সিবিআই আইও সুশান্ত ভট্টাচার্য। অনুব্রত-সায়গলকে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করার ফের আবেদন করা হবে বলে জানান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য।

Next Article