এক প্রজন্ম সুবিধা পেলে, পরবর্তী প্রজন্ম নয়! SC সংরক্ষণ নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Aug 03, 2024 | 5:31 AM

Supreme Court on SC Category: বিচারপতি বিক্রম নাথও বিচারপতি গাভাইয়ের সঙ্গে সহমত। তিনি মনে করেন, ওবিসি-র মতো এসসি-র ক্ষেত্রেও এই 'ক্রিমি লেয়ার' খুঁজে বের করা জরুরি। বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল মনে করেন, একটি প্রজন্মেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত সংরক্ষণ।

এক প্রজন্ম সুবিধা পেলে, পরবর্তী প্রজন্ম নয়! SC সংরক্ষণ নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ। তফসিলি জাতি বা উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজন করা যেতে পারে, এমনই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর সেই রায়ে যে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, তা হল, কারা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন আর কারা নয়। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি আর গাভাই নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছেন, তফসিলি জাতি ও উপজাতি বা এসসি ও এসটি-র মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ খুঁজে বের করে চিহ্নিত করতে হবে। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধি হয়েও যারা বিভিন্নভাবে সুবিধা ভোগ করেন, তাঁদের ‘ক্রিমি লেয়ার’ বলে উল্লেখ করা হয়। তাঁদের চিহ্নিত করতে পারলে তবেই সমতা আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিচারপতি গাভাই।

বিচারপতি বিক্রম নাথও বিচারপতি গাভাইয়ের সঙ্গে সহমত। তিনি মনে করেন, ওবিসি-র মতো এসসি-র ক্ষেত্রেও এই ‘ক্রিমি লেয়ার’ খুঁজে বের করা জরুরি। বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল মনে করেন, একটি প্রজন্মেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত সংরক্ষণ। তাঁর মতে, সংরক্ষণের মাধ্যমে যদি কেউ উচ্চতর পদে থাকেন, তাহলে দ্বিতীয় প্রজন্ম সংরক্ষণের আওতায় পড়বে না। বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মাও সমর্থন করেন এই মত।

নীতি কেমন হওয়া উচিত, বিচারপতি গাভাই এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসসি ক্যাটাগরি বা তফসিলি জাতির প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে যিনি সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁর সন্তানেরা সেই সুবিধা পাবেন না। আবার যাঁরা সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের সন্তানদের এসসি হিসেবে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে উদাহরণ দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, এসসি অন্তর্ভুক্ত একজন আইএএস, আইপিএস অফিসারের সন্তান আর এসসি অন্তর্ভুক্ত একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের স্কুল পড়ুয়া কি একই সুবিধা পেতে পারে?

জনজাতি-উপজাতির মধ্য়েও শ্রেণি বিভাজনের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার সম্মতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সাত বিচারপতির বেঞ্চে চলছিল সেই মামলা। শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি দেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া শ্রেণি যাতে শিক্ষা ও চাকরিতে আরও বেশি সুযোগ পায়, তার জন্যই এই আবেদন করা হয়েছিল। রায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম রায়ে বলা হয়েচে, উপশ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।

Next Article