Sukanta Majumdar: ‘খেলা হবেই, গ্যালারিতে বসে দেখব না’, দিলীপকে পাশে নিয়ে দলত্যাগীদের ফেরার ডাক সুকান্তর
Sukanta Majumdar BJP: দিলীপ যে আগ্রাসন দিয়ে দল এবং সংগঠন পরিচালনা করেছেন, তিনি তার থেকে খুব একটা পিছিয়ে আসবেন না সুকান্ত।
কলকাতা: বিজেপির (BJP) প্রথম একাদশে খেলতে না পেরে তৃণমূলে (TMC) নাম লিখিয়েছেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলে দিলেন, ‘খেলা তো হবেই।’ যে শব্দবন্ধকে হাতিয়ার করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপিকে নকআউট করেছিল, সেই অস্ত্রেই শান দিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি শোনা গেল সুকান্তবাবুর কণ্ঠে। মঙ্গলবার TV9 বাংলাকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুকান্ত জানিয়ে দেন, খেলা হবে। এবং বিজেপিও সেই খেলা খেলবে। গ্যালারিতে বসে দর্শকের ভূমিকা নেবে না।
মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির হেস্টিংসের দফতরে নব নিযুক্ত সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির তরফ থেকে। এরপরই সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়েই একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত। হাবেভাবে একটা জিনিস বুঝিয়ে দেন তিনি। সেটা হল- দিলীপ যে আগ্রাসন দিয়ে দল এবং সংগঠন পরিচালনা করেছেন, তিনি তার থেকে খুব একটা পিছিয়ে আসবেন না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, ‘এ রাজ্যে তালিবানি কায়দায় সরকার চলছে।’ পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গের সরকার বদল হতে পারে বলেও বলতে শোনা যায় তাঁকে।
দিলীপ ঘোষ যে উচ্চতায় বিজেপিকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার জায়গায় এসে সুকান্ত বিজেপিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারেন, সেটাই বঙ্গ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণের অন্যতম বিষয় হতে চলেছে। তবে একুশের নির্বাচনে যে কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনা এবং রণনীতিগত খামতি ছিল, সেটা এ দিন স্বীকার করে নেন সুকান্ত। একই সঙ্গে যে নেতা-কর্মীরা ভোটের পর দলত্যাগ করেছেন, তাঁদেরও নতুন করে দলে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: Purulia needle case: পুরুলিয়া সূচ-কাণ্ডে ফাঁসির নির্দেশ সনাতন ও মঙ্গলাকে
সুকান্ত বলেন, “আমরা চাই না কেউ দল ছেড়ে যাক। সবাইকে নিয়েই চলতে চাই। যারা বিজেপির নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী তাঁরা আশা করে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। এবং যারা অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরা চলে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। যারা চলে গিয়েছেন, তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখবেন, হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা ফিরে আসুন।” বস্তুত, প্রথম থেকেই যে সংগঠনে তিনি সর্বাধিক জোর দেবেন, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পাশাপাশি ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচারের ক্ষেত্রে বিজেপির সব থেকে বড় ইস্যুই যে ভোট পরবর্তী হিংসা হতে চলেছে, সেটাও দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন নতুন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত।
আরও পড়ুন: Transgender: ‘মরদ হয়েছিস, মরদের মত থাক’, হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে নিগৃহীত রূপান্তরকামী যুবক!