আপনার বয়স যাই হোক না কেন আপনার ত্বকের কথা আপনাকে সব সময় ভাবিয়ে তোলে। আপনার ত্বককে আপনি সব সময় উজ্জ্বল রাখার চেষ্টা করেন। এই চেষ্টার ধরন যাই হোক না কেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি থেকেই যায়। কোরিয়ানদের একটা খুব সাধারণ ৬-ধাপের ত্বকের যত্নের রুটিন রয়েছে। যা আপনার ত্বককে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা পেতে সাহায্য করতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টগুলো একটা নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করে প্রয়োগ করতে হবে। যদি সেগুলো জগাখিচুড়ি হয়ে যায়, তাহলে দিনের পর দিন ব্যবহার করেও কোনও ফল পাওয়া যাবে না।
ত্বককে ভাল করে পরিষ্কার করুন: ত্বকের যত্নের জন্য প্রথম পদক্ষেপে সবসময় আপনার ত্বককে ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আপনার গতকালের মেক-আপ থেকে শুরু করে সারাদিনের দূষিত পদার্থ ত্বক থেকে সরিয়ে ফেলতে আপনাকে এমন একটি ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে যা আপনার মুখের সমস্ত ময়লা ধুয়ে ফেলতে পারে। ধোয়ার পর মোছার জন্য সব সময় মসলিন কাপড় ব্যবহার করুন।
টোন: টোনিং এমন একটি পদক্ষেপ যা অনেকেই এড়িয়ে যায়। আপনি যদি কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে টোনিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনি যখন আপনার মুখ পরিষ্কার করেন, তার পরে আপনার ত্বকের pH সব জায়গায় সমান থাকে না। তাই, ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে আর আর্দ্রতা কমাতে এই পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। আর সেই কাজের জন্যই টোনারের দরকার হয়।
ইমালসন: ইমালসন একটা হালকা, আধা-স্বচ্ছ লোশন যা আপনার ত্বকে গভীর হাইড্রেশন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এটা এমন একটা ধাপ যা ত্বকের লিপিড এবং তেলের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এটি আপনার ঘাড়েও লাগাতে ভুলবেন না।
সিরাম: ইমালসনের পর সিরাম ব্যবহার করার প্রধান কারণ হল আপনার ত্বকের চাহিদাগুলো যথা সময়ে নির্দিষ্টভাবে পূরণ করা। এটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। তাই আপনার ত্বকের ধরন অনুসারে একটি সিরাম বেছে নিন। এটি ত্বককে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে।
মুখের জন্য চোখের ক্রিম: কোরিয়ায় মুখের জন্য চোখের ক্রিমের ব্যবহারের ধারণাটি বেশ সুপরিচিত। চোখের ক্রিমে পেপটাইডের মতো শক্তিশালী উপাদান থাকে। মুখের ক্রিমের মধ্যে এই উপাদানটি সেভাবে থাকে না। কিছু চোখের ক্রিম আছে যা আপনার মুখে ব্যবহারের জন্যও উপযুক্ত। তারা মুখের সূক্ষ্ম দাগ এবং বলি রেখা সরিয়ে দিতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার: কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন অনুযায়ী শেষ ধাপ হল ময়েশ্চারাইজার লাগানো। আপনার আঙ্গুলে কিছুটা ময়েশ্চারাইজার নিন এবং আপনার মুখের চারপাশে অল্প চাপ দিয়ে লাগিয়ে নিন। আপনি চোয়ালের পেশী থেকে কপাল পর্যন্ত আপনার পুরো মুখ ম্যাসাজ করতে পারেন। মুখের যে জায়গায় চামড়ার টান বেশি সেই এলাকায় ময়েশ্চারাইজার ভাল করে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Skin Care for Festival Season: উত্সবের মরসুমে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সহজ টিপস শেয়ার ত্বক বিশেষজ্ঞদের!
আরও পড়ুন: Cracked Heels: ফাটা গোড়ালির সমস্যা? এক সপ্তাহের মধ্যে রেহাই পান কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই