শীতের মরসুমে আমরা শরীর স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আদা ব্যবহার করি। আদা শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই আদা দিয়ে চা পান করেন। আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে রোগের হাত থেকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
তাছাড়াও আদা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আদা হল ফ্যাট বার্নার। এর পাশাপাশি ক্যান্সারের ক্ষতিকারক কোষকে বৃদ্ধি হতে দেয় না আদা। আদার প্রচুর স্বাস্থ্য উপলারিতা রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন যে আদা শরীরের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও উপকারী?
ত্বকের জন্য উপকারী
আদার জল পান করলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়, যা সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকে। আদার জল ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি এটি ব্রণ এবং ত্বকের সংক্রমণের মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা পেতে চাইলে আদার জল নিয়মিত পান করতে হবে।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে
গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদার মধ্যে ৪০ টিরও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুক্ত র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
ব্রণ প্রতিরোধ করে
নিয়মিত এই বিরক্তিকর ব্রণ ব্রেকআউটে ভুগছেন? অ্যান্টি-ব্রণ ক্রিম ব্যবহার করার পরিবর্তে আদা ব্যবহার করুন। এই মশলাটি তার অত্যন্ত কার্যকর অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত, যা ফুসকুড়ি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে কাজ করে।
পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে
আদার সুবিধাগুলির মধ্যে আরেকটি হল পিগমেন্টেশনের সমস্যাকে দূর করা। পিগমেন্টেশনের কারণে যে দাগগুলি সৃষ্ট হয় সেগুলিকে দূর করতে সক্ষম আদা। যদিও ব্রণর দাগের চেয়ে হালকা, এই হাইপোপিগমেন্টেড দাগ লক্ষণীয় এবং এগুলি আপনার ত্বকের নষ্ট করে। ত্বকের যে যে অংশে এই পিগমেন্টেশনের সমস্যা রয়েছে, সেখানে কাঁচা আদা প্রয়োগ করতে পারেন। উপকার পাবেন।
আদার ফেস মাস্ক
আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বক এবং এমনকি ত্বকের টোনকে নরম করে বলে জানা যায়। এর জন্য আদা, মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি ফেস মাস্ক তৈরি করুন। এবার ওই মাস্কটা ত্বকের ওপর প্রয়োগ করুন। শুকনো হওয়া অবধি রেখে দিন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: DIY Hair Mask: শীত পড়তেই চুলের সমস্যায় নাজেহাল? চুলে পুষ্টি জোগাতে ব্যবহার করুন এই হেয়ার মাস্ক