Grey Hair Problems: কম বয়সেই চুল পেকে যাচ্ছে? ঘরোয়া উপায়ে চুল কালো করবেন কীভাবে,জানুন…
মানসিক চাপ, দূষণ ও খারাপ খাদ্যাভাসের মতো কারণগুলি এই অকালে চুল পেকে যাওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে মাথার মধ্যে একটি ছোট পাকা চুল দেখলেই আমরা আতঙ্কে ভুগতে থাকি।
তরুণ বয়সে চুল পেকে যাওয়া এখন আর কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। আজকাল কিশোর-কিশোরীদের মধ্য়েও অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। মানসিক চাপ, দূষণ ও খারাপ খাদ্যাভাসের মতো কারণগুলি এই অকালে চুল পেকে যাওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে মাথার মধ্যে একটি ছোট পাকা চুল দেখলেই আমরা আতঙ্কে ভুগতে থাকি। কারণ পাক চুল একবার দেখা পাওয়া মানেই সারা মাথায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তো থাকেই। আর সেই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় ঘরোয়া পদ্ধতিতেই।
অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কী?
অকালে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে জিনের একটি অন্যতম হাত রয়েছে। গবেষণা অনুসারে, জেনেটিক্সের কারণে অকালে চুল পেকে যায়। বাবা-মা এমনকি দাদু-দিদা-ঠাকুমার যদি খুব তাড়াতাড়ি চুলে পাক ধরে, তাহলে অল্প বয়সেও আপনার চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া মানসিক চাপের কারণে দ্রুত গতিতে চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আপনি যখন খুব বেশি চাপে থাকবেন, স্বাস্থ্য তত বেশি প্রভাবিত হবে। বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। যোগা বা প্রাণায়ামের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এছাড়া ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দিলে মাথায় দ্রুত হারে চুল পাকতে শুরু করে। ভিটামিন বি ১২ -এর ঘাটতি কমাতে সিরিয়াল,দুগ্ধজাতীয় খাবার, ডিম খেতে পারেন। তাতে চুল পেকে যাওয়ার মত সমস্যা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুলের সমস্যা তৈরি হয়। থাইরয়েডের অত্যাধিক ও অপর্যাপ্ত কার্যকারিতা ত্বক ও চুলের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে। মেলানিনের পরিমাণ হ্রাস পেলে চুল পেকে যায়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে অকালে চুল পেকে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, তা জেনে নিন..
আমলা- চুলের রঙ ধরে রাখতে প্রাকৃতিকভাবে আমলা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রথমে আমলাকে থেঁতো করে তা থেকে বীজ ফেলে দিন। এবার বীজ ছাড়া আমলাগুলির পেস্ট বানান। ওই পেস্ট গোটা মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। যাতে চুলের গোড়া পর্যন্ত আমলার পুষ্টিগুলি যায়।
নারকেল তেল ও লেবুর রস
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে নারকেল তেলের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, নারকেলের গুণে মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে। এছাড়া চুল নরম করতে ও অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্য়া থেকে মুক্তি দিতে পারে সহজেই। নারকেল তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুল ও চুলের গোড়ায় আলতো করে মাসাজ করে গোটা মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
কারি পাতা
চুলের গোড়া মজবুত করতে ও অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। প্রথমে এক টেবিলস্পুন নারকেল তেলের মধ্য়ে কারি পাতা ফুটিয়ে নিন। এবার সেই কাথ মাথার ত্বকে লাগিয়ে মাসাজ করে নিন। ৩০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২বার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে সুফল পাবেন দ্রুত।
চা বা কফি
চুলকে প্রাকৃতিকভাবে কালো রাখতে চা বা কফির কোনও বিকল্প নেই। প্রথমে ১০ মিনিট ধরে জলের মধ্যে চা বা কফি ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই জল পাক চুলকে সাদা করতে সাহায্য করে। চুলের রঙ বাদামি করতে ও চকচকে ভাব আনতে কফির লিকার ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজের পেস্ট-
চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করতে পেঁয়াজের গুণ অনেক। প্রথমে একটি পেঁয়াজ কেটে থেঁতো করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার সেই পেস্ট চুলে ও মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজের পেস্ট দ্রুত চুল পাকা থেকে কালো হয়ে যায়।
শিকাকাই
প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল কালো করতে শিকাকাই ব্য়বহার করে উপকার পাবেন। জলের মধ্যে শিকাকাই ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ধরে একটি লোহার পাত্রের মধ্যে ভিজিয়ে রাখলে ভাল। এবার সেই জল সকালে ফুটিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে প্রয়োগ করুন। প্রতিদিন করলে ভাল ফল পাবেন।