Oily Hair Care: তেলতেলে চুলের কারণে শীতকালে নানা ধরনের সমস্যা হয়, সেগুলোর সম্বন্ধে জেনে নিন…
তৈলাক্ত চুল ভাল রাখা যদিও খুব কঠিন। শ্যাম্পু করার সময় বারবার মনে হয় এটা বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না। আবার তৈলাক্ত চুলে তেল দেওয়াও যায় না। হেয়ার মাস্ক লাগালেও চুল তৈলাক্ত হয়ে যায়।
ত্বকের মতো চুল ভাল অবস্থায় রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর চুলের যত্ন নেওয়ার সময় বাইরের যত্নের পাশাপাশি সুষম খাদ্যের মাধ্যমে ভিতরের যত্নও সমান জরুরি। তার সঙ্গে চুলের ধরন বুঝে সঠিক প্রোডাক্টও ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত চুল ভাল রাখা যদিও খুব কঠিন। শ্যাম্পু করার সময় বারবার মনে হয় এটা বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না। আবার তৈলাক্ত চুলে তেল দেওয়াও যায় না। হেয়ার মাস্ক লাগালেও চুল তৈলাক্ত হয়ে যায়। তখন মনে হয় চুল একটু শুষ্ক হওয়াই ভাল।
স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য নারকেলের দুধ সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক উপাদান। তাজা নিষ্কাশিত নারকেলের দুধের সঙ্গে একটি লেবুর রস এবং ৪-৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা মাথায় রেখে তার পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদিও এটা ভাবা ঠিক নয় যে তৈলাক্ত চুলে কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয় না। যাঁদের তৈলাক্ত চুল তাঁরা স্কাল্প বাঁচিয়ে চুলে কন্ডিশনার দিতে পারেন। তবে কন্ডিশনার হালকা হতে হবে এবং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা চলবে না।
একটি কন্ডিশনার ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যায় যা চুলে উজ্জ্বলতা যোগায়। কয়েকটা পেঁয়াজ ও কিছু বাঁধাকপি একসঙ্গে কুচিয়ে একটা তামার পাত্রে সারারাত রেখে দিতে হবে। সকালে, পেঁয়াজের গন্ধ দূর করতে ইলাং ইলাং এসেনসিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা যোগ করতে হবে। কয়েক ফোঁটা ভেষজ তেল যোগ করে এবং তার পর মাথায় লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করতে হবে। এতে চুলে ঔজ্জ্বল্য ও সুন্দর রঙ আসবে। সপ্তাহে একবার এটি লাগানো যায়।
তৈলাক্ত চুলের জন্য একটি খুশকি দূর করারও একটি উপায় বলে দেওয়া হল। দুই চামচ মেথির বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে সকালে বীজের পেস্ট তৈরি করে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা রেখে সাবান বা শিকাকাই এবং জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল ধোয়ার পরিবর্তে একটি ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে দু’বার এটি ব্যবহার করা যায়।
চুল শ্যাম্পু করার আগে, ১ টেবিল চামচ জল এবং ১০ ফোঁটা প্যাচৌলি এসেনসিয়াল অয়েল নিয়ে হালকা মাসাজ করতে হবে। আঙুল দিয়ে এটি স্কাল্প এবং চুলে লাগিয়ে চুল শ্যাম্পু করতে হবে। চুল থেকে তেল দূর করতে আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করা যায়। এক মগ জলের জন্য এক চা চামচ ভিনিগার নিতে হবে। যদি নিয়মিত ব্যবহারের পরে চুল পড়ে যায় তাহলে আপেল সাইডার ভিনিগারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। ঘন ঘন চুলে হাত দেওয়া বা হেয়ারব্রাশ চালানো বন্ধ করতে হবে। এরকম করলে চুলের সিবাম বেড়ে যায় এবং চুল আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়।