
শীতকাল খাদ্যরসিকদের জন্য ‘সুখের’ সময়। নানা রকমের সবজি পাওয়া যায়। বৈচিত্র বেশি। নানা রেসিপি ট্রাই করা যায়। পাতে পড়ে সুস্বাদু খাবারও। একেক দিন ভিন্ন স্বাদের খাবার। অনেক সময় আমরা জেনে শুনে সুষম খাবার খাই, আবার অনেক সময় অজান্তেই। তাতে উপকারই হয়। যদি জানা থাকে? তা হলে হয়তো আরও গুরুত্ব দিয়ে এই সবজি নিয়মিত খাওয়া যেতেই পারে। তাতে আখেরে লাভই হয়। শীতকালে পাওয়া নানা সবজির মধ্যে একটি হল বিট। অনেকেই স্যালাডের মধ্যেও এই সবজি যোগ করেন। যা খুবই ভালো। বিট কতটা উপকারী? কোন কোন রোগকে কিংবা শারীরীক সমস্যাকে ‘বিট’ করতে পারে? আদৌ এই সবজি কতটা সুস্বাস্থ্যের পক্ষে লাভজনক? কখনও ভেবে দেখেছেন? চলুন, এর সম্পর্কে না হয় আরও একটু বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…।
চিকিৎসকদের কাছে এই প্রশ্নটা অনেক সময়ই আসে। বিট কতটা উপকারী? চিকিৎসকদের সঙ্গে সহমত হলে, এর অনেক ফায়দা রয়েছে। গবেষণা বলছে, বিট-এ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ব়্যাডিকাল মুক্ত করে শরীরকে। যার ফলে ডায়াবেটিসের জটিলতা কমাতে সহযোগিতা করে। এমন অনেক তথ্য মিলেছে, যাতে বলা হয়েছে ওজন ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এই সবজি। গবেষণা আরও বলছে, কার্বোহাইড্রেট এবং বিটের জুসে ইনসুলিন প্রতিরোধ কমে যা মেদবৃদ্ধি আটকায়।
বিট কী ভাবে খেলে বেশি উপকার হবে?
বিটে যেহেতু ফাইবারের পরিমাণ বেশি, এটাকে অতিরিক্ত রান্না করলে এর গুণাবলী কমে। বরং পরিষ্কার করে কাঁচাও খাওয়া যেতে পারে। ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখার জন্য অন্যান্য সবজির সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ কাঁচা বিটের জুসে ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯.১৯ গ্রাম সুগার, ৩.৮ গ্রাম ফাইবার এবং ২.২ গ্রাম প্রোটিন মেলে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা হাফ কাপ খেলেই বিরাট উপকার।