
কথায় বলে, বাসন একসঙ্গে রাখলে ঠোকাঠুকি লাগবেই! প্রবাদের কারণও রয়েছে। পরিবারে খুঁটিনাটি ঝগড়াঝাটি অস্বাভাবিক নয়। তেমনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও। লাভ ম্যারেজই হোক বা অ্যারেঞ্জ। বিয়ের পর মতবিরোধ হতেই পারে। অনেক সময় ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মতান্তর লেগেই থাকে। কিন্তু ঝগড়া যদি নিয়মিত হয়ে দাঁড়ায়, বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে ভাবার মতোই। রোজ স্বামী কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া একেবারেই স্বাভাবিক বলা যায় না। সম্পর্কে ভাঙন ধরে তাই নয়, এর থেকে আরও বড় পরিণতিও হতে পারে। এর সমাধান চান? লাল-কিতাবের এই দুটি সহজ উপায় মেনে দেখতে পারেন।
ভালোবাসা হঠাৎ করে তিক্ত হয়ে যায় না। হয়তো দীর্ঘদিনের অভিমান জমতে জমতে তা বৃষ্টির আকারে ঝরে পড়ে। অনেক সময় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়। সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে সম্পর্ক নিয়ে যত্নশীল হওয়া অবশ্যই জরুরি। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। তেমনই লাল-কিতাবের অনেক উপায়ই বিশ্বাস করে উপকার পান অনেকেই। স্বামী-স্ত্রীর রোজকার ঝগড়া হলে, তার সমাধানেও রয়েছে সহজ দুটি উপায়। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়েই।
প্রথম উপায়: গরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ান। টানা ৭ কিংবা ১১টি শুক্রবার এই কাজ করুন।
এর গুরুত্ব কী? হিন্দু ধর্মে গরুকে মাতৃরুপে দেখা হয়। শুক্রবার করে তাকে খাওয়ানোর ফলে শুক্রগ্রহের ফেরে বিয়ে, ভালোবাসা এবং সম্পর্কের রসায়ন গাঢ় হয়, এমনটাই বিশ্বাস।
দ্বিতীয় উপায়: ঘরে কামধেনুর ছবি রাখুন। বাড়িতে ঠাকুর ঘরে রাখুন। তবে মাথায় রাখবেন, ভুলেও কিন্তু সেটি শনিবার কিনবেন না। লাল-কিতাব অনুযায়ী, শনিবার এটি কেনা মানে শনির খারাপ দৃষ্টি পড়তে পারে। যাতে সম্পর্কের জটিলতা আরও বাড়তে পারে। তবে কামধেনুর ছবি রাখার ফলে দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে।
লাল-কিতাবের এই উপায়গুলি খুবই সহজ। বিশ্বাসের সঙ্গে মেনে চলতে পারলে সমস্যার সমাধান হতেই পারে।