
ব্যস্ত জীবনে অনেকের কাছে শরীরের যত্ন নেওয়ার মতো আর এনার্জি থাকে না। কেউ বা শর্টকার্ট খোঁজেন। সময় বাঁচানোও হয়, আর প্রয়োজনও মেটে। আর এর মধ্যে অন্যতম ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহার। হয়তো কোথাও বেরোতে হবে। কিন্তু হাতে সময় কম। শ্যাম্পু করা, চুল শুকোনো, অনেকটা সময়ের ব্য়াপার। ড্রাই শ্যাম্পু সহজ উপায়। বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। সময়ও বাঁচানো যায়। কিন্তু সময় বাঁচানো আর চুলের যত্নে বড় কোনও ভুল করছেন না তো? বিশেষজ্ঞদের কথাতেই হয়তো বুঝতে পারবেন।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার অনেকেই পছন্দ করেন। জল ছাড়াই চুল পরিষ্কার করা যায়। চুলের গোড়ায় থাকা তৈলাক্ত ভাব কিংবা খুসকি থাকলেও পরিষ্কার হয়। চুল চকচকে এবং গ্ল্যামারাস দেখায়। কিন্তু এই গ্ল্যামারই বড় সমস্যা নয় তো?
দিল্লি অ্যাপোলো স্পেকট্রা হাসপাতালের ডার্মোটোলজিস্ট ডাঃ সন্দীপ অরোরা জানান, চুলের যত্ন নিতে ড্রাই শ্যাম্পু সহজ একটি উপায়। এটি সাধাহরণ পাওড়ার কিংবা স্প্রে হিসেবে পাওয়া যায়।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে গ্ল্যামার বাড়ে এটা যেমন স্বস্তির, ক্ষতি কি হয়? চিকিৎসক আরও জানান-নিয়মিত ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে চুলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। স্ক্যাল্পে পাওডার জমা হতে পারে, যাতে চুলের রোমকুপে ক্ষতি পারে। এছাড়াও ড্রাই শ্যাম্পুর কারণে, চুলও শুকনো হয়ে যেতে পারে, এলেমেলো দেখাতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল পড়া, মাথা চুলকোনো, বিশেষ করে যাদের চুল এমনিতেই কমজোর, তাঁদের আরও সাবধান হওয়া উচিত।
তা হলে কি ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত? খুব বেশি হলে সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি নিয়মিত লিকুইড শ্যাম্পু, জল দিয়ে চুল ধোয়াও জরুরি। এছাড়াও ড্রাই শ্যাম্পু ব্য়বহার করতে হলে আগে চুলের পরীক্ষা করিয়ে নিন, যাতে চিকিৎসক সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন, আপনার চুলের জন্য আদৌ এটি ব্যবহারযোগ্য কি না।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।