
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড নাকি জমজমাট ব্যবসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত নতুন কিছু না কিছু চোখ টানার মতো বিষয় দেখা যায়। তেমনই একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে দেশের অনেক বড় বড় শহরে। ব্যস্ত জীবন, পরিবারও ক্রমশ ছোট হচ্ছে। নিকটআত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ কালেভদ্রে। কেউ বা শহরে নতুন কিংবা অনেক দিন ধরেই বাস করছেন, কিন্তু বন্ধুর সংখ্যা সীমিত। সোশ্যাল লাইফও নেই বললেই চলে। হয়তো উইকএন্ডে একটু পার্টি। এতে কি আর মন ভরে!
একটা যদি পুরোপুরি বিয়ের নেমন্তন্ন আসে, কয়েক দিনের আনন্দ। কিন্তু নিয়মিত তো সেটাও সম্ভব নয়। যে শহরে থাকছেন, সেখানে পরিচিতর সংখ্যা এতই কম বা ওই যে সোশ্যাল লাইফের অভাব! এর জন্যই যেন নতুন ট্রেন্ড, ফেক ওয়েডিং। কী এই বিষয়টা?
আপনি পুরুষই হোন বা মহিলা, ধরুন আপনি অবিবাহিত। অথচ পরিচিতদের চোখে বিবাহযোগ্য। আর বিয়ে বাড়িতে গেলেই একটা কমন প্রশ্ন শুনতে হয়, ‘তোরটা কবে খাব’! প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতে ক্লান্তও পড়েন। ব্যক্তিগত জীবনে অন্যের হস্তক্ষেপ পছন্দ না হওয়াই স্বাভাবিক। এই ‘বিরক্তি’ কাটাতেই কি ফেক ওয়েডিং?
Now you can pay ₹1499 and attend a fake wedding. No dulha, no rishtedaar, you come, take the vibe and go home. This covers food, dhol, dancing, and Instagram worthy pictures. Wild concept! 🤣 pic.twitter.com/CE3b197lBV
— Aaraynsh (@aaraynsh) July 9, 2025
বিষয়টা হল, সাজানো মণ্ডপ, লাইটিং, কিন্তু এখানে পাত্র-পাত্রী কেউই আসল নন, তেমনই নিমন্ত্রিতরাও কেউ কারও চেনা নন। সব হচ্ছে নিয়ম মেনেই কিন্তু সত্যি নয়। জাস্ট অভিনয়। মন্ত্র পড়া থেকে সমস্ত আচার-আচরণও হচ্ছে! অর্থাৎ বিয়েবাড়ির আনন্দ উপভোগ করার সহজ পন্থা। যেখানে পার্টির মজাও হবে, খাওয়া-দাওয়া তো রয়েইছে। নাচ-গান-হই হুল্লোর। বিনোদনের পাশাপাশি লাখ টাকার ব্য়বসাও।
একঘেয়ে জীবনে একটা মশলা আনতে টিকিট কেটে বিয়েবাড়িতে ঢুকে পড়লেই হল। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুনের মতো বড় শহরে এই ট্রেন্ড কিন্তু জমিয়ে চলছে। অনেকেই হাজারো টাকা খরচ করে টিকিট কেটে বিয়েবাড়ির ফ্লেভার উপভোগ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এর ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে। রয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রও। এক্স হ্যান্ডলে একজন পোস্ট করেছেন, মাত্র ১৪৯৯ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে বিয়ে বাড়ির আনন্দের কথা।