বিশ্বজুড়ে নিঃশব্দ ঘাতকের মতই বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। আট থেকে আশি সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবিটিসে। কিছুজনের ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস বংশগত হলেও আজকাল টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। প্রথম থেকেই কিন্তু টাইপ ২ ডায়াবিটিসের বিশেষ কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। অজান্তেই তা বাড়তে থাকে। যখন ধরা পড়ে তখন পরিস্থিতি অনেকটাই হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। আর ডায়াবিটিসে আভ্যন্তরান বিভিন্ন ক্ষতি হয়। যা কিন্তু আগের থেকে বোঝাই যায় না। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যত মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাদের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ জানেন না যে তাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে ৩৫ বছরের নীচে কিন্তু ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যাটা সবচাইতে বেশি। যে কারণে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে রক্তনালী, কিডনি, চোখ আর হার্টের সমস্যা বেশি আসে। তবে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণেই কিন্তু বিশ্বজুড়ে এভাবে বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে পাণীয়।
গরমে গলা ভেজাতে কোল্ড ড্রিংকই ভরসা। কোল্ড ড্রিংকের মত কার্বোনেটেড পানীয় আমাদের শরীরের জন্য কতখানি ক্ষতিকারক তা সকলেই জানেন। কিন্তু তারপরও প্রচিদিন প্রচুর মানুষ কোল্ডড্রিংক খান। হাতের সমানে জল না থাকলে ভরসা সেই কোল্ডড্রিংকই। আর ডায়াবিটিসের জন্য ২৬ শতাংশ দায়ী এই অভ্যাস। কোল্ডড্রিংকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। যা কিন্তু খুব দ্রুত শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সহ্গে এই সব ড্রিংকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরিও।
বিশ্বজুড়ে অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় হল কফি। কফি খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু বিরল। কফির স্বাদ আর গন্ধ মুহূর্তের মধ্যে আমাদের মন ভাল করে দেয়। আড্ডা জমাতে কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ক্যাফের মেনুতে হরেক যে সব কফি থাকে তার সবই তৈরি হয় দুধ, চিনি, ক্রিম সহযোগে। আর এই তিন উপাদানই আমাদের শরীরের জন্য বিষ। কিছু ক্ষেত্রে আবার চকোলেট সিরাপও কিন্তু যোগ করা হয়। আর এই কফি খেলে ওজন বাড়ে, সুগার বাড়ে সেই সঙ্গে আসে ওবেসিটির সমস্যাও।
এনার্জি ড্রিংকের বিজ্ঞাপনে হয়তো বলা থাকে তার মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই। নেই চিনিও। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। যে কোনও এনার্জি ড্রিংকের মধ্যে যে হিডেন সুগার থাকে তা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এতে শরীরের উপকারের থেকে অপকার বেশি হয়। এমনকী ১০০ শতাংশ খাঁটি কমলালেবুর রসও আমাদের সুগারের জন্য দায়ী।
ওজন কমাতে আজকাল অনেকেই স্মুদি খান। সেই সঙ্গে গরমের দিনে মিল্কশেক আর স্মুদিও খুব জনপ্রিয়। তবে এই স্মুদি খেলেও কিন্তু ওজন বাড়ে, সুগার বাড়ে। বিশেষত মিল্ক শেকে যখন মেশে মধু. চকোলেট সিরাপের মত একাধিক উপাদান। এতে শরীরের মোটেই ভাল হয় না। বরং ক্ষতি হয় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Food habits: যৌবন ধরে রাখতে চান? ডায়েটে রাখুন এই ৬ খাদ্যাভ্যাস….