Recipe: ফ্রিজে থাকবে একমাস! এবার বাড়িতেই তৈরি করুন নরম তুলতুলে খোয়া ক্ষীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

May 08, 2022 | 2:26 PM

How To Prepare: মিষ্টি বানাতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণটি হল খোয়া ক্ষীর। এরজন্য অনেকে মিষ্টির দোকান থেকে খোয়া ক্ষীর কিনে আনেন। খাবারে স্বাদের মাত্রাটা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয় খোয়া ক্ষীর।

Recipe: ফ্রিজে থাকবে একমাস! এবার বাড়িতেই তৈরি করুন নরম তুলতুলে খোয়া ক্ষীর

Follow Us

মিষ্টি বানাতে ভারতীয়রা তুখর। তবে বাঙালির হেঁসেলে যে মিষ্টি তৈরি হয় তা খাঁটি ছানা দিয়ে সুস্বাদু সব মিষ্টির রেসিপি সন্ধান পাওয়া যায়। পায়েস, নানা স্বাদের দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি বানাতে অল্প খোয়া ক্ষীর (Khoya Kheer) দিলেই হবে কেল্লাফতে। যেমন হবে তার স্বাদ, তেমন মিষ্টির বাধনও হবে দুরন্ত। মিষ্টি বানাতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণটি হল খোয়া ক্ষীর। এরজন্য অনেকে মিষ্টির দোকান থেকে খোয়া ক্ষীর কিনে আনেন। খাবারে স্বাদের মাত্রাটা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয় এই সুস্বাদু শুকনো ক্ষীর।। উৎসবের মরশুমে তাই বাজার থেকে কিনে আনা হয় এই অতি-প্রয়োজনীয় জিনিসটি। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, খোয়া ক্ষীর নিয়েও বাজারে চলে জালিয়াতি। দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসা খোয়া ক্ষীর যে সবসময় আসল হবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কারণ দোকানে এখন নকল খোয়া ক্ষীরও বিক্রি করা হয়। আসল খোয়া ক্ষীর চিনতে হলে প্রথমে একটু মুখে দিন। যদি সেটি মুখে দিলেই গলে যায় আর খুব নরম হয় তাহলে সেটি আসল খোয়াক্ষীর বলে মনে করা হয়। কিন্তু এত ঝামেলার মধ্যে যাওয়ার নেই। সহজ উপায়ে ও চটপট বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন খোয়া ক্ষীর। কীভাবে বানাবেন, কী কী উপকরণ লাগবে, তা দেখে নিন এখানে….

উপকরণ

২০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর তৈরি করতে কী কী লাগবে, জেনে নিন একনজরে…

ফুল ফ্যাট দুধ- আধ লিটার,
গুঁড়ো দুধ ,
কনডেনসড মিল্ক- স্বাদমতো,
১ চামচ ঘি,
এলাচের গুঁড়ো

পদ্ধতি

প্রথমে একটি পাত্রে ঠান্ডা দুধ ঢেলে নিন। এরপর তার সঙ্গে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিন। এবার দু’রকম দুধ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে থাকুন। মনে রাখবেন গুঁড়ো দুধ যদি সরাসরি গরম আঁচে কড়াইতে দিয়ে দেন তাহলে কিন্তু দুধে লাম্প আসতে পারে। যার ফলে কড়াইতে মিশিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এর জন্য আগে থেকে দুধটা মিশিয়ে নেওয়া ভাল। এর জন্য পাত্রে প্রথমে লিকুইড দুধ দিয়ে তাতে অল্প অল্প করে গুঁড়ো দুধ মেশাতে থাকুন আর নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনে গুঁড়ো দুধের পরিমাণটা একটু বাড়িয়েও দিতে পারেন। মিশ্রণটি তৈরির সময় দেখবেন মিশ্রণে যেতে একটুকুও লাম্প না থাকে।

এবার আভেনে একটি পাত্রে ফুল ফ্যাট মিল্ক গরম করতে দিন। কম আঁচে রেখে ফুটতে দিন। এরপর দুধ গরম হয়ে এলে যে গুঁড়ো দুধ লিকুইড দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছিলেন সেই মিশ্রণটা দুধের মধ্যে অল্প অল্প করে মিশিয়ে নিন। একেবারে পুরোটা মেশাতে যাবেন না। অল্প অল্প করে মেশাবেন আর নাড়তে থাকবেন ঘন ঘন। একম কম আঁচে ধৈর্যে নিয়ে নেড়ে যেতে হবে। দুধ যখন ফুটে ঘন হয়ে আসবে তখন প্যানের চারপাশে লেগে থাকা দুধটা খুন্তি দিয়ে দুধের মধ্যে মিশিয়ে দিতে থাকবেন। তা না হলে, ওই অংশটা কিন্তু শক্ত হয়ে যাবে। এবার কনডেনসড মিল্ক যোগ করুন। তাতে খোয়ার স্বাদ হবে দ্বিগুণ। মিষ্টির স্বাদ বুঝে কনডেন্সড মিল্ক দিন।

এরপর টানা দুধটা নাড়তে হবে। খোয়া ক্ষীর তৈরি হতে একটু সময় লাগে। বারবার নেড়ে মিশ্রণটি মন্ডের আকার দিতে হবে। কড়াই থেকে ছেড়ে গেলে বুঝবেন আপনার খোয়া ক্ষীর রেডি। তবে, খোয়া ক্ষীর ননস্টিক প্যানে রান্না করলে তলায় ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। মন্ডটি একদম নরম হয়ে এলে তাতে এক চামচ ঘি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তাতে একটা হালকা বাদামী রঙ আসবে। এবার ওপর থেকে একটু এলাচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। এরপর ১ মিনিট মতো মিশিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি খোয়া ক্ষীর। খোয়া ক্ষীর কিন্তু এক মাস পর্যন্ত ফ্রিজে স্টোর করে ব্যবহার করতে পারেন।

Next Article