খেজুর রস এবং নলেন গুড় খুবই সুস্বাদু। শীতকালে খেজুরের রস ও নলেন গুড় দিয়ে পায়েস, বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠা, তালের পিঠা, খেজুর গুড়ের জিলাপি ইত্যাদি তৈরি হয়ে থাকে। স্বাদ আর মানভেদে খেজুরের গুড় পাটালি, নলেন গুড়, হাজারী গুড় নামে পরিচিত।
নলেন গুড় এক ধরনের গুড় যা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয়। বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুরের উত্তাপে রসকে ঘন ও শক্ত পাটালিগুড়ে পরিণত করা হয়। ধরন অনুযায়ী খেজুরের গুড়কে ঝোলা গুড়, দানাগুড়, পাটালি, চিটাগুড় ইত্যাদি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়। শীতকাল মানেই পিঠে-পুলির পার্বণ। আগেকার দিনে শীতকালে নলেন গুড় দিয়ে নানারকম পদ তৈরি হয়। তবে এখন সেই পদের তালিকা কম হলেও এই বিশেষ গুড়ের কদর কিন্তু কমেনি।
তবে শীতকালে যে গুড় দিয়ে যেমনই পদ রন্ধিত হোক না কেন, নলেন গুড়ের রসগোল্লার কাছে সব কিছু হার মানে। এমন বাঙালিই তো আপনি ভূ-ভারতে পাবেন না, যিনি বলবেন যে নলেন গুড়ের রসগোল্লা ভালবাসেন না। প্রতি শীতে অপেক্ষা করে থাকেন নলেন গুড়ের রসগোল্লা খাওয়ার জন্য। তবে কিনে ছাড়া নলেন গুড়ের রসগোল্লা খাওয়ার উপায় নেই। তাই তো আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি নলেন গুড়ের রসগোল্লার রেসিপি।
নলেন গুড়ের রসগোল্লা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ-
নলেন গুড়ের রসগোল্লা তৈরি করার পদ্ধতি-
প্রথমে দুধ জাল দিতে হবে, ফুটে উঠলে তাতে লেবুর রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে দুধের মধ্যে দিয়ে ছানা বানাতে হবে। এবার ছাকনির উপর কাপড় রেখে ছানা ঢেলে দিতে হবে, আর সঙ্গে সঙ্গে ছানার উপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে লেবুর টকভাব না থাকে। এবার আধঘণ্টা মত ছানাটা কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে সব জল ঝড়ে যায়।
এরপর জল ঝড়ানো ছানা, এলাচ গুঁড়ো, চিনি একটি থালায় নিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে দশ মিনিট মেখে মসৃণ মন্ড তৈরি করে নিতে হবে। এবার ছানার মন্ড অল্প অল্প নিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে রসগোল্লার আকারে তৈরি করে নিতে হবে। এবার ওভেনে একটা পাত্রে জল ও নলেন গুড় দিয়ে হাই ফ্রেমে ফুটিয়ে নলেন গুড়ের রস তৈরি করতে হবে। রস ফুটে উঠলে ছানার বল গুলো দিতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট হাই ফ্রেমে ঢাকা দিয়ে ফোটাতে হবে। ছানার বলগুলো ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এবার ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন নলেন গুড়ের রসগোল্লা।
আরও পড়ুন: দেখা মাত্র জিভে জল আনে মালাইয়ো! উত্তরপ্রদেশের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির আসল রহস্যটা কী?