“বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই।”
প্রেমের সবচেয়ে মিষ্টি অনুভূতি বোধহয় চুমু। তা সে যে রকম বা ফর্ম-এরই হোক। প্রিয়জনের গালে আলতো করে ঠোঁট রাখা হোক অথবা একেবারে ফিল্মি কায়দায় লিপলক—রোম্যান্স কিন্তু সবেতেই ভরপুর। কিন্তু এ বার করোনার জ্বালায় জীবনের অন্যতম মন্ত্র ‘দো গজ কি দূরি’। অগত্যা, চুমু দিবস বা ‘কিস ডে’ এবার অনেকের কাছেই প্রযুক্তি-নির্ভর। হোয়াটসঅ্যাপ হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য মাধ্যম, সেখানে চুমুর ইমোজি পাঠিয়েই এবার খুশি থাকতে হবে অনেককে। বিশেষ করে যাঁরা লং ডিস্ট্য়ান্স রিলেশনশিপ-এ রয়েছেন, তাঁদের তো বছরের বেশিরভাগ সময়ের প্রেমই চলে ইমোজিতে। নানা মুখভঙ্গির ইমোটিকনই তাঁদের অন্যতম ভরসা।
তাই ‘কিস ডে’-র দিন চলুন একটু জেনে নেওয়া যাক চুমুর নানা ইমোজির আসল মানে কী?
১। এক চোখ বুজে ওই খানিকটা চোখ মারা বা উইঙ্কিং পোজে চুমু- এই ইমোজিতে ঠোঁটের কাছে হাজির ‘লাভ সাইন’। হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘কিসিং ইমোজি’ এটাই। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধুবান্ধব, ভাইবোন—- এই চুমুর অধিকার একদম সার্বজনীন।
২। হোয়াটসঅ্যাপের ইমোজি সেকশনে চোখ খুলে পাউট করে চুমু খাওয়ার অপশনও রয়েছে। যদিও অনেকেই বলেন, অন্তরঙ্গ মুহূর্তে চুমু খাওয়ার সময় চোখ নাকি আপনাআপনিই বুজে আসে। তাই যাঁরা রোম্যান্সের ব্যাপারে বেশ দুঃসাহসী, এমন চোখ খুলে চুমু খাওয়ার সাহস বোধহয় তাঁরাই দেখান।
৩। চোখ বুঝে চুমু খাওয়ার আবার দু’রকম ইমোজি রয়েছে নেট দুনিয়ায়। একটায় আবার লজ্জায় রাঙা গালও দেখা যায়। প্রেম টেক নির্ভর হয়েছে ঠিকই। তবে রঙ মোটেও ফিকে হয়নি। বরং ভালবাসার রঙ বেশ গাঢ়।
৪। দু’চোখে লাভ সাইন দেখতে পাওয়া হোক বা চোখ বুজে নিজের চারপাশে লাভ সাইন ভেসে বেড়াচ্ছে—এমনটা যাঁরা মনে করেন, তাঁদের জন্যও রয়েছে দু’টো স্পেশ্যাল ইমোটিকন। মনের মানুষের আদর-ভালবাসা পেলে অনেকেই খুশি হয়ে এমন ইমোটিকন পাঠিয়ে থাকেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অন্য প্রান্তে থাকা মানুষকে।
৫। যাঁরা বিড়ালপ্রেমী তাঁদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের ইমোটিকন সেকশনে রয়েছে এক ‘কিসিং বিল্লি’। চোখ বুজে গালে লজ্জার আভা নিয়ে হাজির থাকে এই বিড়াল। এই ‘কিস ডে’-তে প্রিয়জনকে পাঠাতেই পারেন এই ইমোজি।
৬। লাল লিপস্টিক মাখা ঠোঁটের ছাপের ইমোজিও রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। এই ইমোটিকনে অধিকার শুধু মেয়েদের। একান্ত মুহূর্ত বা রোম্যান্সের গভীরতা বোঝাতে এই ইমোজির জুড়ি মেলা ভার।