রাত পোহালেই ৩১ ডিসেম্বর। গোটা বিশ্ব মেতে উঠবে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু করোনার চোখরাঙানি এতটুকু কমেনি। এরই মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া, কলকাতাতেও করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। তবে কি উদযাপন থমকে যাবে? বিনা সেলিব্রেশনেই বিদায় জানাতে হবে ‘বিশ’ বছরকে? না, অন্য উপায়ও রয়েছে। কী সেই উপায়? ভিড় এড়িয়ে কী কী ভাবে সেলিব্রেট করবেন নতুন বছর? কোথায় কোথায় যাবেন? হদিশ রইল TV9 বাংলায়।
ঠান্ডা হাওয়া আর মায়ের ঘাট
উত্তুরে বাতাস, গরম চা আর মায়ের ঘাট…বছরের শেষ দিন জমিয়ে দিন এভাবেই। পার্কস্ট্রিটের ভিড়ঠাসা রাস্তা নয়। পছন্দের মানুষের সঙ্গে হাতে হাতে, গরম চায়ে চুমুকু…থার্টি ফার্স্ট কাটুক এ ভাবেই।
পপকর্ণ আর সিনেমা হল
সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি। রয়েছে বেশ কয়েকটি টলিউড ছবিও। ভিড় এড়িয়ে সিনেমা দেখতে পারেন আগামীকাল। একে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খুলেছে। অন্যদিকে একটি আসন বাদ দিয়ে বসার ব্যবস্থা। তাই সংক্রমণের দিক দিয়ে আপনি কিন্তু অনেকটাই নিরাপদ।
বো-ব্যারাকের আমেজ
বো ব্যারাকের আমেজ এ বারে অনেকটা ফিকে হলেও পুরোপুরি ফিকে নয়। ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা ক্রিস্টমাস ট্রি, দু’হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকা ভগ্নপ্রায় বাড়ি আর তাঁকে ঘিরে টুনি বাল্বের উজ্জ্বলতাকে চাক্ষুষ করতে আপনি চলে যেতেই পারেন সেখানে।
ইকো পার্কের আড্ডা
ইকো পার্কে ভিড় হবে ভালই। তবে যেহেতু বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে এই পার্কটি তাই ৩১-এ আপনার পছন্দের গন্তব্য হতেই পারে ইকো পার্ক। ভিড় হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো জায়গা আপনি খুঁজে নেবেন ঠিকই। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে অবশ্যই তাকে চোখে চোখে রাখবেন।
নস্টালজিয়ার ডুব
পুরনো স্কুল-কলেজের কথা খুব মনে পড়ে? অনেক দিন যাওয়া হয় না? বছরের শেষ দিনে আপনার পছন্দের ডেস্টিনেশন হতেই পারে সেই স্কুল-কলেজের সামনের চেনা রাস্তা, চেনা চায়ের দোকান। বন্ধুদেরও ডেকে নিন সেখানে। তার পর না হয় কাছে ধারেই স্যানিটাইজ করা কোনও রেস্তোরাঁয় জমে উঠুক পুরনো আড্ডা। ডুবে যান নস্টালজিয়ায়।