কখনও শীত, তো কখনও গরম। আজব আবহাওয়া। ঘর থেকে গরম পোশাক পরে বেরিয়ে, মাঝরাস্তাতেই খুলে ফেলতে হচ্ছে। আর ফলে টুক করেই লাগছে ঠান্ডা। পরিণাম, সারাদিন ধরেই খুক খুক কাশি! আর রাতে শোয়ার পরে সেই কাশি বাড়ছে তিনগুণ। দুম করেই কাশি কমানোর ওষুধ কিনে ফেলেছেন। তাতেও হচ্ছে না কোনও লাভ। উলটে কাশি বাড়ছে আরও। সারাদিন ঘুম, ঘুম, ভাব। ভাবছেন কি উপায়? চিন্তা নেই, বাড়িতেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা দিয়ে খুব সহজেই সমাধান হবে এই সমস্যার। কী করবেন? রইল সহজ টিপস।
ছোটবেলা থেকে মা-ঠাকুমার থেকে শোনা মধু কাশি দমনে দারুণ উপকার করে। তাই মধুকেই বেছে নিন প্রথমে। রোজ সকালে উঠে খালি পেটে এক চামচ করে মধু খান। এতে সারাদিনের খুসখুসে কাশি যেমন দূরে হবে, তেমনি বুকে কফ জমলে তাও দূর হবে।
যদি শুধু মধু খেতে না ইচ্ছে করে তাহলে, এক গ্লাস উষ্ণজলে পরিমাণমতো মধু খেয়ে মিশিয়ে নিন। সেটা খালি পেটে পান করলেও উপকার পাবেন।
অল্প আঁচে মধু গরম করে নিন। তারপর একটু ঠান্ডা করে তারমধ্যে লবঙ্গ পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। এতেও ঝটপট সমস্যা দূরে হবে।
তবে শুধু মধুই নয়, রসুনও কিন্তু দারুণ কাজ করবে এমন সমস্যায়। ঘিয়ের মধ্যে দু-কোয়া রসুন দিয়ে ভাল করে গরম করে নিন। তারপর গরম গরম ভাতের সঙ্গে মেখে খেতে পারেন। এত কিন্তু উপকার পাবেন।
সকালে খালি পেটে যদি এক কোয়া করে রসুন খেতে পারেন, তাহলে সর্দি-কাশি থেকে উপকার পাবেন। যদি রসুনের উগ্র গন্ধের জন্য তা খেতে অসুবিধা হয়, তাহলে মধুর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে আরও ভাল উপকার পাবেন।
আদা যে সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্যে করে, তা কিন্তু মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু কীভাবে খেলে ঝটপট উপকার হবে, তা কিন্ত অনেকেই জানেন না। অনেকে মনে করেন, চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ের পরিবর্তে কফির মধ্যে আদা মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে কিন্তু ব্ল্যাক কফিই বেশি কাজ দেবে।