
মাধুরী দীক্ষিত নাকি দিনে নয় থেকে দশ গ্লাস জল খেতেন রোজ। তাঁর শুটিং ফ্লোরে শুধু দেওয়ার জন্যই রাখা হয়েছিল লোক। মাধুরীর রূপের রহস্য নাকি এই জলই! মালাইকা অরোরাও সকালবেলা উঠে একগ্লাস জল খেয়েই দিন শুরু করেন। যেখানেই যান হাতে রাখেন জলের বোতল। বেশি বেশি জল খেলেই নাকি শরীরের দারুণ উপকার। ত্বক হবে ঝকঝকে। থাকবেন ইয়ং। সত্যিই কি জল বেশি খেলে উপকার বেশি? কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পেজে জানিয়ে দিলেন একজন সুস্থ মানুষের ঠিক কতটা জল খাওয়া উচিত।
চিকিৎসক পার্থসারথী জানালেন, ”প্রত্য়েকের জন্য় জল খাওয়ার নিয়ম আলাদা। একজনের জন্য আলাদা কোনও মাপকাঠি নেই। তেষ্টা অনুযায়ী, প্রয়োজন অনুযায়ী, শরীর নিজেই চেয়ে নেবে জল। কিন্তু কিডনি ভাল রাখার জন্য বেশি বেশি জল খাবেন, সেটা কিন্তু ঠিক নয়। এসি ঘরে বসে আছেন, কিংবা ম্যাগাজিনে পড়েছেন সকাল উঠে কয়েক গ্লাস জলে খেলে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে, এসব কথা একেবারেই ভ্রান্ত। বরং এই ধরনের অভ্যাস কিডনির উপর অনর্থক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
চিকিৎসক আরও বলেন, সুস্থ লোকের কতটা জল খাওয়া উচিত, তার একটা মাপকাঠি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। যা কিনা কোনও সুস্থ ব্যক্তির ওজনের উপর নির্ভর করে। শরীরের ওজনের প্রতি কিলোগ্রামে মোটামুটি ৪৫ থেকে ৫০ মিলি লিটার। ধরুন যদি কারও ওজন হয় ৭০ কেজি তাহলে সারাদিন ধরে সাড়ে তিন লিটার জল খাওয়া যেতে পারে। কারও ওজন যদি হয় ৮০ কিলো তাহলে ৪ লিটার। কারও ওজন যদি হয় ৩০ কেজি তাহলে মোটামুটি দেড় লিটার। তবে যদি কোনও ব্যক্তির কিডনি বা হৃদপিণ্ডের সমস্যা থাকে, তাহলে এই পরিমাণ জল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। তখন চিকিৎসকই শরীরের অবস্থা বুঝে জল খাওয়ার একটা মাপ দিয়ে দেবে।