
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহল নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এই নিয়ে বহু লেখা ও প্রবন্ধও রয়েছে। যা দেখে রবি ঠাকুরের জীবনযাপন সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়। সেই সব প্রবন্ধ থেকেই জানা যায়, খাবারের ব্য়াপারে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন খুবই খুঁতখুঁতে। স্বাদ যদি এদিক থেকে ওদিক হত, তাহলে নাকি অসন্তুষ্ট হতেন। তাই রবীন্দ্রনাথের জন্য রান্না করার সময় ঠাকুরবাড়ির রাঁধুনী থাকতেন তটস্থ।
রবি ঠাকুরের ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ মোটামুটি বাঁধা থাকত একটাই নিয়মে। এই নিয়মের খুব একটা বেশি রকমফের করতেন না তিনি। তা কেমন ছিল রবি ঠাকুরের ডায়েট?
সকালে উঠেই রবি ঠাকুর খেতেন এক গ্লাস নিমপাতার শরবত। যা কিনা তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সারা বছর ধরে রবি ঠাকুরের সকাল শুরু হত এই নিম শরবত খেয়েই।
ব্রেকফাস্টে মূলত, দুধ-বার্লি খেতেন। খেতে ভালবাসতেন চিড়ের পোলাও। তবে জানা যায়, গরম পড়লে রবি ঠাকুরের পাতে পড়ত পান্তা ভাত। সঙ্গে পিঁয়াজ ও আলু সেদ্ধ।
লাঞ্চে প্রচুর শাক-সবজি খেতেন তিনি। সুক্তো ছিল তাঁর ফেভারিট। শজনে ডাঁটা দিয়ে ডাল খেতে খুবই ভালবাসতেন তিনি। আমিষ পদের তুলনায়, নিরামিষ পদই বেশি খেতেন তিনি। আর পাত শেষে টক দই তাঁর চাই-চাই। দইয়ে মিশিয়ে নিতেন অল্প বিট নুন।