
ত্বকের যত্নের জন্য আমরা নানারকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কখনও বুঝে, কখনও আবার না বুঝেই। কেউ একটা কিছু বলল, আর ওমনি অনলাইন বা দোকান থেকে টুক করে কিনে নেওয়া। এই যেমন, অনেকেই আমরা নানারকম ক্রিম ও লোশন কিনে ফেলি। কিন্তু জানেন কি, ক্রিম আর লোশন এক নয়? এই দুটোর মধ্যে রয়েছে অনেকটাই তফাৎ। আর সেই কারণেই এই দুটোর ত্বকের কাজ করার পদ্ধতি একেবারেই আলাদা।
বিষয়টা একটু বিশদে বলা যাক। আমরা অনেকেই যখনই ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, তখন টুক করে কিনে ফেলি লোশন বা ক্রিম। কিন্তু কখনই হয়তো ভেবে দেখা হয় না, যে ক্রিম যা কাজ করে, লোশনই কি তাই কাজ করবে? দুটোই কি একই রকম?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোশন, ক্রিমের থেকে অনেকটাই হালকা। লোশনে জলের পরিমাণ বেশিমাত্রায় থাকে, মানে লোশন হয় ওয়াটার বেসড। অন্যদিকে, ক্রিম, লোশনের তুলনায় অনেকটাই ভারী হয় এবং এতে তেলের মাত্রা বেশি থাকে এবং জলেরমাত্রা থাকে কম।
লোশনে জলের পরিমাণ বেশি থাকায়, এটা তরল আকারের হয় এবং ব্যবহার করতে সুবিধাজনক। অন্যদিকে ক্রিমের ক্ষেত্রে তরল ব্যাপারটি থাকে না।
তা কোনটি ব্যবহার করা ভালো?
আসলে যেকোনও ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের ধরনটা বুঝে নেওয়া উচিত। অর্থাৎ ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত হলে কিংবা মিক্সড হলে সেই বুঝেই লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আপনার ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, তাহলে অয়েল বেসড ক্রিম মাখা উচিত। এক্ষেত্রে লোশন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। অন্যদিকে, যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় বা মিশ্র হয়, তাহলে নিশ্চিন্তে মাখুন লোশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের বেলার সাধারণত লোশন মাখা ত্বকের পক্ষে ভালো। অন্যদিকে, ক্রিম মাখা উচিত রাতের বেলায়। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় ড্রাই স্কিন হলে অয়েল বেসড ব্যবহার করুন। এবং তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বেসড লোশন।