
নয়াদিল্লি: যে হাওয়ায় শ্বাস নিচ্ছেন, সেই বাতাসই আপনার আয়ু কমাচ্ছে না তো? কীভাবে বুঝবেন যেখানে আপনি রয়েছেন, সেখানের বাতাসে দূষণের পরিমাণ কম না বেশি? রাস্তাঘাটে না হয় প্রশাসন বাতাসের দূষণ মাপার অনেক যন্ত্র লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাড়ির ভিতরে? কিংবা যে অফিসে আপনি কাজ করছেন, তার আবহাওয়া বিশুদ্ধ নাকি দূষিত?
এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে একটা ওয়েবসাইট। তা হল, AQI.in। আপনি যে সার্চ ইঞ্জিন ব্য়বহার করেন, তাতে গিয়েই এই ওয়েবসাইটটি সার্চ করুন। তাহলে মিলে যাবে, আপনার পরিবেশের ঠিকানা।
আপনি যে পরিবেশে রয়েছেন তা বিশুদ্ধ নাকি দূষিত, শুধু এই উত্তরটাই দেয় না এই ওয়েবসাইট। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসে, আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই জেনে যাবেন, অন্য় প্রান্তের বাতাসের কথা। ঠিক এই কারণেই বর্তমানে গোটা দেশে হাওয়ার মান জানার জন্য AQI হয়ে উঠেছে অন্যত্তম মাধ্যম। যার ব্যবহারে জোর দিচ্ছে প্রশাসনও।
সংস্থার দাবি, AQI বিশ্বব্যাপী বাতাসের গুণমান ট্র্যাক করার জন্য চতুর্থ সর্বাধিক পরিদর্শন করা সাইট। যার পরিষেবা ভারতের মতো বিশ্বের নানা দেশেই পাওয়া যায়। কিন্তু আজকের দিনে কেন প্রয়োজন AQI-এর?
চলতি বছরের একটি সমীক্ষা বলছে, দূষিত দেশের তালিকায় ভারত খানিক উন্নতি করলেও, ভারতের দুই পড়শি দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কিন্তু অনেকটাই ডুবেছে। বিশ্বে দূষিত দেশগুলির মধ্য়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এমনকি, ভারত বিষবাতাস খানিক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও, দিল্লি বা কলকাতার বহু জায়গাতেই এখনও শ্বাস নেওয়া দুর্বিসহ।