TV9 বাংলা ডিজিটাল: প্রচলিত মতে সোনা (Gold) পরিধান করলে তা সংসারের পক্ষে শুভ কিন্তু আপনি কি জানেন সোনার আরও একটি দিক রয়েছে যা একেবারেই পরিধান যোগ্য নয়। অথচ তা কিন্তু আমদের দেহের মধ্যেই ক্রিয়া করে। তা হল সোনার খাদ্যগুণ।
আর শুধু গুণ বললেই হয় না বরং বলা ভাল স্বাস্থ্যোপযোগী (Healthy) খাদ্যগুণ।আমরা সাধারণত মিষ্টির রাঙতায় বা সুশির মোড়কে এর ব্যবহার দেখে থাকি কিন্তু বহু যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধে সোনার প্রয়োগ তা কিন্তু এখনও লোক চক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে।
আসুন জেনে নিই সোনার কিছু বিশেষ গুনাগুণ।
সোনার বার কিংবা সোনার তাল বা সোনার কয়েন কিন্তু কখনোই খাওয়ার উপযুক্ত নয়। তবে যখন একটি সোনার পাতকে বারংবার ঘা মেরে,পুড়িয়ে বা নানাবিধ উপায়ে যখন ১/৮০০০ মিলিমিটার ঘনত্বে নিয়ে আসা হয় তখন সেই সোনাকে খাওয়ার উপযোগী বলে গণ্য করা হয়।
এক্ষেত্রে সোনাকে গলিয়ে, পিটিয়ে তা দিয়ে পাতা, রাঙতা, ফ্লেক্স (Flakes) এসব বানিয়ে নেওয়া হয়।
ভোজ্য সোনা (Edible Gold) আদতে রাসায়নিক ভাবে জড়(Inert) এবং শরীরে কোনভাবেই কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া করে না। আমাদের হজম ক্রিয়ায় কোন রকম বাধার সৃষ্টি করে না। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে সোনা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করা হলে পেটে ব্যাথার উদ্বেগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণত ২৪ ক্যারেট সোনাকে খাওয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয় কারণ এই সোনা নরম ও ভঙ্গুর যা হজমের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।
ভোজ্য সোনায় মূলত ই-১৭৫(E175) নামক একটি ফুড অ্যাডেটিভ(Food Additive) থাকে,যা খাদ্য রঞ্জক(Food Color) হিসাবে পরিচিত।
ভোজ্য সোনায় গ্ল্ুটেন(Gluten) থাকে না তাই হজমের সমস্যা থাকলেও এই সোনা শরীরের বিশেষ ক্ষতি করে না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোনাকে খাওয়ার হিসাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাঁর মধ্যে খানিক রুপো মিশ্রিত করা হয়।
আগেই বলছি ভোজ্য সোনায় গ্লুটেন থাকে না তাই তা কোনভাবেই হজমের সমস্যা করে না। এছারাও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতির অপরিহার্য অংশ সোনা।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সোনার ন্যানো পার্টিকেল (Nano particle) গুলি অনেক সময় আমাদের শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে বা সরাসরি ইঞ্জেকশন হিসাবে ব্যবহুত হলে কোষের ঝিল্লিগুলিকে নষ্ট করে দিতে পারে।
কিন্তু খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করলে কোনভাবেই এই পার্টিকেলগুলি সরাসরি কোষের ক্ষতি করে না। ফলত খাদ্য হিসাবে সোনা এক্কেবারেই নিরাপদ।