পোশাকের সঙ্গে পনিটেল করে হেয়ারস্টাইল করতে গিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে আপনার চুলের সমস্যাগুলি।, চুলের ডগ ফেটে যাওয়া, রুক্ষ চুলে হেয়ারস্টাইল কি হয়? তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পুরনো হেয়ার ব্রাশ, স্ট্রেস। তার সবটাই প্রভাব পড়ছে চুলের উপর।
সারাদিন অফিসের কাজ ও বাড়ির অন্যান্য কাজ কিংবা সন্তানকে সামলে নিজের জন্য সময় দিতে পারছেন না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাদিনের পর রাতে শোওয়ার আগে কিছুটা সময় বের করুন। ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন নিতে পারফেক্ট সময় হল ২০মিনিট। প্রতিরাতে যদি ২০ মিনিট সময় বের করে ত্বকের পরিচর্চা করতে পারেন, তাহলে চুলের জন্য নয় কেন?
চুলের আগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিন বিশেষ যত্ন। কীভাবে করবেন?
আরও পড়ুন: লুকে বদল আনুন কার্টিলেজ পিয়ারসিংয়ে! কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন…
১- প্রথমে চুল ভাল করে চিরুনি দিয়ে ব্রাশ করুন। এবার সিঁথি কেটে চুলটাকে দুভাগে ভাগ করুন। সারাদিন চুলে ব্রাশ দিতে না পারলে রাতের এই সময়ে চুলে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান। জট পাকিয়ে গেলে সামান্য জল দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করুন।
২- খুব ভাল হয় যদি নিমকাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। তাতে মস্তিষ্কে ও চুলের গোড়ায়. রক্ত সরবরাহ ভাল হয়।
৩- চুলের সমস্যা অনুযায়ী ময়শ্চারাইজিং হেয়ার সিরাম বা অ্যান্টি ড্যানড্রফ সিরাম ব্যবহার করুন। হাতের আঙুলের আলতো ছোঁয়ায় চুলের স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন।
৪. সিল্ক বা সাটিনের স্ক্রাঞ্চি দিয়ে চুলটিতে আলতো বেঁধে শুয়ে পড়ুন।
আরও পড়ুন: শুষ্ক-রুক্ষ ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায়ে ব্যবহার করুন ‘সুপারস্টার’ কুমড়োর ফেস মাস্ক!
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস…
– রাতের সময় কখনও চুলে তেল দিয়ে মাসাজ করে শোবেন না। যদি অগত্যা তেল দিতেই হয়, তাহলে সারারাতের জন্য চুলে তেল দিয়ে রাখবেন না।
– যদি সিরাম না থাকে তাহলে অাপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে মেথির বীজের জল একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
– রাতে চুলের যত্ন নেওয়ার পর সাটিন বা সিল্কের বালিশে মাথা রাখুন
– অনেকেরই চুলে তৈলাক্ত ভাব বেশি থাকে, তাঁরা স্ক্যাল্প ক্লিনিং সিরাম বা ভিটামিন-সি যুক্ত সিরাম ব্যবহার করুন।