লুকে বদল আনুন কার্টিলেজ পিয়ারসিংয়ে! কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন…

ফ্যাশানের জন্য নারী-পুরুষ উভয়ই শরীরের নানা অংশে ট্যাটু, পিয়ারসিং করান। এমনকি কানের ভিতরেও দুল পরেন অনেকে। মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেকেই কানের ভিতর মানে তরুণাস্থিতে দুল পরেন।

লুকে বদল আনুন কার্টিলেজ পিয়ারসিংয়ে! কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন...
কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন...
Follow Us:
| Updated on: May 19, 2021 | 7:59 PM

হিরে বসানো কানের দুল, সোনার ছোট্ট রিং আপনার লুককে বদলে দিতে পারে। মুখের আদল তো বটেই, কানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যও পরতে পারেন এমন কানের দুল।

কোথায় করতে হবে পিয়ারসিং? কানের তিনটি অংশ রয়েছে। বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তকর্ণ। পিয়ারসিং করতে হবে বহিঃকর্ণে। কানের বাইরে অনেকগুলি ভাঁজ থাকে। একেবারে মাথার দিকে যে তরুণাস্থি থাকে তাকে হেলিক্স (Helix) বলে।, সেই হেলিক্সের দুটি ভাগ রয়েছে। সে অংশটি কানের ফুটোর ঠিক উপরে রয়েছে, সেখানে বিধতে পারেন কানের দুল।

আরও পড়ুন: এই গরমে কোন আউটফিটে কুল ও স্মার্ট থাকবেন, দেখে নিন একঝলকে…

কার্টিলেজ পিয়ারসিং (cartilage piercings) করাবেন বলে ভেবে থাকলে মাথায় রাখুন বেশ কয়েকটি নিয়ম…

১. ট্রেনড প্রফেশনালকে দিয়েই কার্টিলেজ পিয়ারসিং করার পরিকল্পনা করান।

২. সুঁচ ফুটিয়েই এই অংশে কানের দুল পরার রীতি রয়েছে।, যদি ভাবেন পিয়ারসিং গান দিয়ে কানে দুল পরবেন, তাহলে ভুলে যান। কারণ এখনও পর্যন্ত ওই অংশে ফুটো করার মতো কোনও যন্ত্র তৈরি হয়নি।

৩. আগে দেখে নিন পিয়ারসিং করার সময় কী ধরনের দুল দেওয়া হচ্ছে। স্টেইনলেস স্টিল, টিটানিয়াম, এপিপি কম্পলিয়েন্ট জুয়েলারি কিনা তা দেখে নেওয়া জরুরি। নাহলে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

৪. কানের লতির মতো এই জায়গাটি অত দ্রুত শুকিয়ে বা ঠিক হয়ে যায় না। ৯মাস থেকে এক বছর সময় লাগে পিয়ারসিংয়ের জায়গাটি ঠিক হতে।

৫. পোশাক ও লুকের সঙ্গে ম্যাচ করে বারবার জুয়েলারি বদলাতে যাবেন নায যতক্ষণ না ঠিকভাবে ওই জায়গাটি শুকিয়ে যাচ্ছে, ততদিন অন্যকোনও কানের দুল পরবেন না।

৬. যে কানে পিয়ারসিং করাবেন, সে কানের দিকে ঘুমাবেন না।

আরও পড়ুন: পার্টি বা বিয়ের অনুষ্ঠান, কোন গ্ল্যামারাস হেয়ারস্টাইল আপনার পক্ষে উপযুক্ত?

৭. প্রতিদিন ডেটল বা সলিউশন ওয়াইপস দিয়ে পিয়ারসিংয়ের জায়গাটি পরিষ্কার করুন। যদি ইনফেকশন হয়ে যায়, অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

৮. ধুলো-বালি, সংক্রমণের থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন রানিং ওয়াটার জায়গাটি ধুয়ে পরিস্কার করুন।

৯. এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বারবার নোংরা আঙুল দিয়ে নতুন পিয়ারসিংয়ের জায়গাটিতে চাপ দেবেন না। যদি দিতে হয়, জল ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই ওই জায়গায় হাত দেবেন।