Yamunotri Dham: দারুণ খবর! ৫ ঘণ্টার রাস্তা কমে এবার মাত্র ৫ মিনিটেই যমুনোত্রী দর্শন
Travel Tips: এক সমাজকর্মী জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরির প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সাল থেকে, যার কারণে খরসালি গ্রামের স্থানীয়রা পর্যটন বিভাগকে প্রায় ১.৫ হেক্টর জমি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
হরিদ্বার থেকে জানকী চটি, তারপর ৫ কিমি হাঁটা পথেই যেতে হবে যমুনোত্রী মন্দিরে। ৫ কিলোমিটার হালকা শোনালেও চলার পথ কিন্তু মোটেও মসৃণ নয়। যমুনা নদীকে ডানদিকে রেখে যতই পথচলা শুরু হয় ক্রমশই উপরের দিকে উঠতে হয় ভক্তদের। ঘোড়া, ডান্ডিয়াওলা থাকলেও যমুনোত্রী মন্দিরের দর্শন পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। তবুও সেই পাথুরে রাস্তা অতিক্রম করতে দ্বিধাবোধ করেন না পূণ্যার্থীরা। দুর্গম ও ভয়ংকর পথ অতিক্রম করতে প্রায় ৫ ঘণ্টা লেগে যায়। যমুনোত্রী হিমালয়ের চারধামের মধ্য়ে একধাম। তাই প্রতিবছরই এই মন্দির দর্শনের জন্য ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তরা। তবে এবার সেই পরিশ্রম করতে হবে না, ৫ ঘণ্টা থেকে কমে মাত্র ১০ মিনিটেই রওনা দেওয়া যাবে যমুনোত্রী মন্দিরে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর পর ফের রোপওয়ের প্রকল্পটি অবশেষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, এই অভিনব ও কার্যকরী প্রকল্পটির জন্য প্রায় ৩.৮ হেক্টর জমি ব্যবহার করা হবে। তার মধ্যে ৩.৭ কিমি দীর্ঘ রোপওয়ে নির্মাণ করা হবে। এর জেরে যমুনোত্রী মন্দিরের সঙ্গে খরসালি গ্রামের সংযোগ স্থাপন হবে। এই প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষমীয় অংশ হল রোপওয়ে ভ্রমণের সময় পাঁচ ঘণ্টার বদলে মাত্র ১০ মিনিটই মন্দির দর্শন করা যাবে। এই প্রসঙ্গে এক সমাজকর্মী জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরির প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সাল থেকে, যার কারণে খরসালি গ্রামের স্থানীয়রা পর্যটন বিভাগকে প্রায় ১.৫ হেক্টর জমি ছেড়ে দিয়েছিলেন। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রকল্প সরকারি লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ছিল, যা এতদিনে দিশা দেখতে শুরু করেছে।
ওই সমাজকর্মী জানিয়েছেন, মন্দিরের পুরোহিত থেকে শুরু করে তীর্থযাত্রীদের মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য জানকী চট্টি থেকে প্রায় ৫ কিমি দুর্গম পথ ট্রেকিং করতে হত। যত উপরে যাওয়া যায় ততই খাড়াই হতে থাকে, তার জেরে বয়স্করা রাস্তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন, শ্বাসকষ্টের কারণে মন্দির দর্শন করাও সম্ভব হয় না। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। অনেকেরই মতে, রোপওয়ে শুধুমাত্র ধাম যাত্রার সময় কমাতে বা পর্যটন জোয়াড় আনতেই নয়, জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করবে।
কবে থেকে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ? জেলা পর্যটন আধিকারিক রাহুল চৌবে জানিয়েছেন, নির্মাণকাজ সম্ভবত এই গ্রীষ্মেই শুরু হবে। দুই বছরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা।