
আকাশ মেঘলা। প্রবল বৃষ্টি পূর্বাভাস। এই সময় পাতে যদি পড়ে গরম গরম খিচুড়ি, তাহলে তো জমেই যাবে খানাপিনা। তবে স্বাদ বদলাতে এবার ট্রাই করতে পারেন এঁচোড়ের খিচুড়ি। তৈরি হবে মাত্র ৫ মিনিটে।
যা যা লাগবে—
বাসমতী চাল ১৫০ গ্রাম, মসুর ডাল ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ২টি, রিং করে কাটা পেঁয়াজ ১টি, আদাবাটা ২-৩ চামচ, এচোড় ২৫০ গ্রাম, আলু ২টি, জিরেভাজা গুঁড়ো ১চা চামচ, কাঁচালঙ্কা কুচি ১ চা চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো ২ চামচ, নুন/চিনি স্বাদমতো, হলুদগুঁড়ো ১ চা চামচ, গোলমরিচ ৭/৮ টি, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ কয়েকটা, টম্যাটো ২টি, কাজুবাদাম ১ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, সাদা তেল ৩ চামচ।
তৈরি করুন এভাবে—
এঁচোড় বড়ো টুকরো করে সেদ্ধ করে নিন। প্যানে ঘি গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজকুচি দিয়ে হালকা করে ভাজুন। এতে এঁচোড়, আলু দিয়ে দিন। অল্প আদাবাটা, নুন, চিনি, জিরেভাজা গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা দুটি ও কাজুবাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। মাখামাখা হলে নামিয়ে নিন। এবার এটাকে মেখে মণ্ড বানিয়ে তাঁর থেকে ছোটো ছোটো বল তৈরি করে ফেলুন। কড়াইতে তেল দিয়ে এঁচোড়ের বল ভেজে তুলুন। এবার ওই তেলের মধ্যে ঘি দিয়ে তাতে রিং করা পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ যখন স্বচ্ছ হয়ে যাবে তখন টম্যাটোকুচি, নুন, হলুদ, চিনি দিয়ে কষে জল দিয়ে বল ফুটতে দিন। অন্যদিকে চাল, ডাল ধুয়ে তেল, গরমমশলা ফোড়ন দিন বাকি পেঁয়াজ দিয়ে ভাজুন ও আদাবাটা, নুন, চিনি, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, গোটা গোলমরিচ দিয়ে কষুন। চাল, ডাল দিন। ভালো করে নেড়ে জল দিন। জল শুকিয়ে গেলে খিচুড়ি নামিয়ে পরিবেশনের পাত্রের মাঝখানে এঁচোড় গ্রেভিসহ রাখুন ও চারপাশে খিচুড়ি সাজিয়ে দিন।