কলকাতার এই দোকান থেকেই স্যুট বানাতেন উত্তম, বিয়ের মরসুমে মহানায়কের মতো হয়ে উঠতে চান?
ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেল থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই দোকান। তবে শুধুই উত্তম নয়, বহু রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়রাও এই দোকান থেকে স্যুট বানান। তবে উত্তমের স্যুট বানানোর সময়, উত্তম নাকি নিজে এসে খোঁজ নিতেন।

পোশাকের ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে ছিলেন উত্তম কুমার। ফিটিংসে একটুও গণ্ডগোল তাঁর সহ্য হত না। আর তাই তো সিনেমার শুটিংয়ের আগে আলাদা করে দর্জি ডেকে পোশাক ট্রায়াল দিতেন। এমন এক দৃশ্য আমরা নায়ক ছবিতেও দেখতে পাওয়া যায়। তবে অন্য পোশাকের ব্যাপারে মাঝে মধ্যে আপোস করলেও, স্যুটের ফিটিংসের ব্য়াপারে কোনওরকম ছাড় দিতেন না উত্তম। কাঁধ থেকে গলা, স্যুটের ঝুল একেবারেই পারফেক্ট হতে হবে। আর এব্যাপারে উত্তম কলকাতার একটি দোকানকেই চোখ বুঝে বিশ্বাস করতেন। দোকানের নাম বরকত আলি অ্যান্ড ব্রাদার্স।
ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেল থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই দোকান। তবে শুধুই উত্তম নয়, বহু রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়রাও এই দোকান থেকে স্যুট বানান। তবে উত্তমের স্যুট বানানোর সময়, উত্তম নাকি নিজে এসে খোঁজ নিতেন। জানা যায়, কাপড় এবং স্যুটের কাটের ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে ছিলেন উত্তম। ঠিকঠাক না হলে, বার বার ডিজাইন পালটাতেন। সত্যজিৎ রায়ের নায়ক ছবিতে যে স্যুটটি পরেছিলেন উত্তম, তাও বানানো হয়েছে এই দোকান থেকে। তবে শুধু স্যুট নয়। উত্তম এখান থেকে বানাতেন শার্টও। হাজার ব্যস্ততা থাকলেও, নিজেই উত্তম আসতেন দোকানে। আর পছন্দ করতেন।
১৯১০ সালে তৈরি হয় এই দোকান। বলা যায় কলকাতায় সবচেয়ে প্রাচীন পোশাক তৈরির দোকান এটি। এই দোকানের কাটই হল, ইউএসপি। বরকাত আলির কাটের জন্য়ই নানা জায়গা থেকে ছুটে আসতেন বহু মানুষ।

বৈশাখ পড়তেই এখন বিয়ের মরসুম। বৈভাতে অনেকেই স্য়ুট পরেন। শুভ দিনে মহানায়কের স্টাইল অনুকরণ করতে একবার ঢুঁ মারতে মারেন এই দোকানে। শপিংমলের দাপটে এই দোকানে এসে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়তে পারেন।
