‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আসলে কী, কোন কাজে লাগবে এই নথি? জানুন খুঁটিনাটি

Sohini chakrabarty |

Mar 10, 2021 | 9:15 PM

আন্তর্জাতিক সফর করার সময় বিভিন্ন দেশেই এখন 'নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট' এবং 'ভ্যাকসিনেটেড'--- এই রিপোর্ট দিতে হয়। সেই রিপোর্ট ডিজিটাল মাধ্যমে এক জায়গায় রাখা সম্ভব হলে সুবিধা হবে আমজনতার।

ভ্যাকসিন পাসপোর্ট আসলে কী, কোন কাজে লাগবে এই নথি? জানুন খুঁটিনাটি
ছবি সৌজন্যে বিবিসি

Follow Us

করোনা আবহে লোকের মুখে ঘুরেফিরে আসছে একটাই শব্দ ‘ভ্যাকসিন’। ভারতে করোনা রুখতে কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড ইতিমধ্যেই এসেছে। ধাপে ধাপে চলছে টিকাকরণ। তবে এইসবের মধ্যে আরও একটি নতুন শব্দ বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’- এর সঙ্গে সকলে পরিচিত না হলেও, ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে এই শব্দবন্ধ।

‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আসলে কী?

ভ্যাকসিন পাসপোর্ট বলতে আসলে এমন একটি নথিকে বোঝানো হয়েছে যা প্রমাণ দেবে যে আপনি করোনা রোখার জন্য ভ্যাকসিন নিয়েছেন। পাশাপাশি এরই আর একটি ভার্সানে আবার এটাও প্রমাণ হবে যে আপনার কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তথ্য সংরক্ষিত থাকবে একটি জায়গায়। আর তার ফলে আপনি নিশ্চিন্তে ট্র্যাভেল করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এয়ারলাইস, ইন্ডাস্ট্রি অর্থাৎ শিল্পক্ষেত্র, নন-প্রফিট এবং টেকনোলজি কোম্পানির ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন পাস বা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি আপনার মোবাইলের ডিজিটাল ওয়ালেট বা মোবাইল অ্যাপের সাহায্যেও এই পরিষেবা পেতে পারবেন আপনি।

এক দেশ থেকে অন্য দেশ হোক বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র দেখানো বেশ সমস্যার। হারিয়ে যেতে পারে নথি। সেই জন্যই ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (IATA) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্যারিন। যাত্রাপথে যেসব প্রয়োজনীয় নথি দরকার হয়, সেগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে এক জায়গায় রাখার কাজ করে IATA- সংস্থা।

কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে, এমনিতেই আমজনতার জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম। আর তাই নতুন উদ্যোগ নিয়েছে IATA। ভ্যাকসিনেশনের উপর বিশেষ নজর দিয়েছে তারা। সংস্থার কথায়, যদি সফরের সময় একটা ডিজিটাল মাধ্যমে আপনার যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে, বিশেষ করে এই কোভিড পরিস্থিতিতে যে দু’টি তথ্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন- ১। আপনার রিপোর্ট নেগটিভ কিনা, ২। আপনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা, তাহলে সময়ও বাঁচবে এবং হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

IATA- র মতোই এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে The World Economic Forum and the Commons Project Foundation। সুইডেনের এই গ্রুপ একটি ডিজিটাল হেলথ পাসপোর্ট চালু করেছে, যার নাম ‘কমন পাস’। এর সাহায্যে ট্র্যাভেলার অর্থাৎ যিনি সফর করছেন, তিনি কোভিড টেস্ট এবং ভ্যাকসিনেশন বা টিকাকরণের ব্যাপারে তথ্য পাবেন।

কিউ আর কোডের সাহায্যে কাজ করবে এই পাসপোর্ট। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সফর করার সময় বিভিন্ন দেশেই এখন ‘নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট’ এবং ‘ভ্যাকসিনেটেড’— এই রিপোর্ট দিতে হয়। ডিজিটাল মাধ্যমে এই কাজ হলে সবদিকেই সুবিধা হবে, সেকথা ভেবেই এই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট বা ভ্যাকসিন পাস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।

Next Article