
হঠাৎ করেই সব ভুলে যাচ্ছেন। কোনও বিশেষ তারিখ, কারও নাম, ফোন নম্বর। কিংবা পাঁচ মিনিট আগেই সামনে রাখা জিনিস, দুম করে ভুলে যাচ্ছেন। বাজারে গিয়ে জিনিস কিনে, দোকানেই ফেল আসছেন। এটা সাধারণ ভুলে যাওয়া রোগ? নাকি ডিমেনশিয়ার লক্ষণ?
সম্প্রতি জনপ্রিয় হেলথ ম্যাগাজিন আইরিশ স্টারে প্রকাশিত হওয়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক সময়ই এ ধরনের উপসর্গকে আমরা হেলাফেলা করি। অনেকে তো এসব নিয়ে মস্করাও করেন। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ধরনের ভুলে যাওয়া রোগ, ডিমেনশিয়া বা বিস্মৃতির প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তবে এটা বোঝার আরেক উপায়ও রয়েছে। গবেষকদের মতে, আমাদের হাঁটার চলনের বদলে যাওয়াই সংকেত দেবে আপনি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত কিনা।
গবেষকরা এই বিষয়ে ৪ টি সংকেতের কথা বলেছেন। যার দ্বারা অনেক আগে থেকে আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত কিনা।
১) প্রথমেই নজরে রাখবেন, আপনার চলার ধরনের দিকে। দিন দিন কি হাঁটার গতি স্লো হয়ে যাচ্ছে? অনেক সময়ই দেখা যায়, বা়ড়ির বয়স্কদের হাঁটার গতি স্লথ হয়ে যায়। একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে যান। এমনকী, দেখা যায় একটু হাঁটলেই সারা শরীর থর থর করে কেঁপে ওঠে।
২) ডিমেনশিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল পারকিনশনস। অর্থাৎ হাত-পা কাঁপতে শুরু করে হঠাৎ হঠাৎ। বিশেষ করে আবেগপ্রবণ পরিস্থিতিতে হাত-পা বেশিমাত্রায় কাঁপতে শুরু করে। এটা কিন্তু ডিমেনশিয়ার লক্ষণ।
৩) হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই পড়ে যাওয়া! অর্থাৎ ব্যালেন্স হারানো সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, এই সমস্যা কিন্তু ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ।
৪) গবেষকরা বলছেন, অনেক সময়ই দেখা যায়, দিক ভুল হচ্ছে। এমনকী, চেনা পথও, অচেনা লাগতে শুরু করে। এই বিস্মৃতিই কিন্ত ডিমেনশিয়ার একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ।
চিকিৎসকদের কথায়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলেই। ঝটপট চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। না হলে হিতে-বিপরীত হতে পারে।