
অসহ্য গরমে রসাল, মিষ্টি আম সবচেয়ে উপকারী ও সুস্বাদু একটি ফল। বিশেষ করে গরমের দিনগুলিতে আম না খেলেই পস্তাতে হবে। শুধু আম ফল হিসেবে নয়, আমের রসও অত্যন্ত উপকারী ও সতেজ পানীয়। মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে, সুগারের রোগী হলে কখনও আম খাওয়া যায় না। আম খেলেই সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারদের মতে, আম কম মাত্রায় খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব পড়ে না। নিয়ম মেনে, টিফিনের সময় স্বাদ বদলাতে আমের এক টুকরো খেলে সুগারের রোগীদের শরীরে কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে আমের রস খেলে শরীর থাকে হাইড্রেটেড ওস্বাস্থ্যকর থাকে।

গরমের জন্য আমের রস অত্যন্ত উপকারী। কোন কোন ক্ষেত্রে আমের রস সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর, তা জেনে নিন এখানে। সুস্বাদু ও তাজা আমের রসে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলের শক্তিশালী উপাদান। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

গরমের প্রধান ফল আম সকলেরই খুব প্রিয়। আমেও ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস বা ওবেসিটির সমস্যা না থাকলে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে রোজ আম খেতে পারেন

প্রচণ্ড গরমে হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমের রস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়। কারণ শুধুমাত্র তৃষ্ণা মেটায় তাই নয়, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটও সরবরাহ করে। গরমে ও তাপে প্রচুর ঘাম বের হলে আমের রস খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।

আমের রসে অ্যামাইলেসের মতো এনজাইম থাকে। এই এনজাইমগুলি কার্বোহাইড্রেট ভেঙ্গে হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।

আমের রসে ভিটামিন এ ও সি থাকায় ত্বকের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করতে সাহায্য করে, অন্যদিকে ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনকে বৃদ্ধি করতে, ত্বকে লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। আমের রস নিয়মিত সেবন ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

পাকা আমের পুডিং বানাতে লাগবে, পাকা আম, তরল দুধ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, স্বাদমতো চিনি, ১ চিমটি নুন ও ১ চামচ লেবুর রস। ২টি আম নিলে দেড় কাপ দুধ এবং ৩ চেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার লাগবে

আমের রস খেলে কখনও মোটা হয়ে যায় না। বরং অতিরিক্ত খাওয়া কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে এক গ্লাস আমের রস। অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয়ের তুলনায় এতে রয়েছে ক্যালোরিতে তুলনামূলকভাবে কম। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আমের রস বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন।

আমের রসে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই খনিজগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও হার্ট স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আমের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমিয়ে হার্টকেও রক্ষা করে। এছাড়া আর্থ্রাইটিস ও হাঁপানির মতো অবস্থার লক্ষণগুলি উপশম করতে পারে।

আমের রসে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-কে এর মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। আমের রস রোজ খেলে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টিগুলি হাড়ের ঘনত্ব ও শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। অস্টিওপরোসিস ও ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।