
বাড়িতে লক্ষ্মীর মূর্তি থাকলেও অনেকে ধনী হওয়ার আশায় কুবেরদেবেরও মূর্তি স্থাপন করেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, কুবের দেব হলেন যক্ষদের রাজা। বাংলায় প্রবাদ বাক্য রয়েছে, যক্ষের ধন। আর এই যক্ষদের অধিপতি হলেন কুবের।

কোনও জিনিসকে যখন প্রাণের থেকেও বেশি ভালবেসে ও ইচ্ছেয় আগলে রাখা হয়, তখন যক্ষের ধন বলে এই প্রবাদ বাক্য উচ্চারণ করা হয়। তাই ধনসম্পত্তি ও অর্থলাভের জন্য অনেকেই কুবেরের মূর্তি স্থাপন করেন বাড়িতে।

শুধু স্থাপন করলেই তো হবে না, রয়েছে বাস্তুনিয়ম। কারণ বাস্তুনীতি না মেনে চললে কুবেরের মূর্তি রাখা বৃথা যাবে। রাতারাতি বড়লোক হতে চাইলেও তা আর হবে না, উল্টে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ধেয়ে আসতে পারে সমস্যার ঝড়ও। তাই কুবেরের মূর্তি ঘরের কোথায় রাখবেন, তা জেনে নিন এখানে...

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভুলেও কুবেরদেবকে বাড়ির দক্ষিণ দিকে স্থাপন করা উচিত নয়। প্রকৃতপক্ষে যম ও পিশাচের অধিবাস এদিকে। বাড়ির এদিকে কুবেরের মূর্তি স্থাপন করলে অশুভ ফল পাওয়া যায়। আর যদি এদিকে স্থাপন করে থাকেন, তাহলে কুবেরদেবকে সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করা প্রয়োজন।

ঘরের পশ্চিম দিকেও কুবের দেবতা স্থাপন করা অশুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এদিকটি শনিদেবের স্থান বলা হয়। যদি পশ্চিম দিকে কুবেরের মূর্তি স্থাপিত হয়ে থাকে তাহলে অবিলম্বে সরিয়ে ফেলুন। যাতে সমস্যা দূর হয়।

বাস্তুশাস্ত্রে নির্দেশ অনুসারে, ঘরে রাখা সমস্ত জিনিস যদি সঠিক পথে রাখা হয় তবেই শুভ ফল পাওয়া যায়। কিন্তু ভুল কোণে বা দিকে স্খাপন করা হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কর্মজীবন ও পারিবারিক পরিস্থিতিও খারাপ হতে পারে।

কুবেরদেবের মূর্তি ভুল দিকে স্থাপন করা হলে লক্ষ্মীরও প্রবেশ ঘটে না সেই বাড়িতে। পরিশ্রম করা সত্ত্বেও আর্থিক সমস্যা দূর হয় না। বরং বার বার ফিরে আসে। তাই বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান কুবেরের মূর্তিটি সরিয়ে উত্তর দিকে রাখুন, যা বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।