
২০১৯ সালের পর দফায় দফায় বেশ চড়েছিল পেট্রোলের দাম। প্রথমে ৭০, তারপর ৯০, এরপর এক ধাক্কায় প্রথম ১০০। তৎকালীন সময়ে পেট্রোলের এমন দাম বৃদ্ধির হিড়িক দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছিল সাধারণ মানুষ।

তবে পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। দাম আর মাথা ঝোঁকায়নি বটে। তবে মাথা তুলেও দাঁড়ায়নি। থেকেছে স্থিতিশীল। কলকাতায় আজ এক লিটার পেট্রোলের দাম ১০৫ টাকা। ডিজেলের দাম রয়েছে প্রায় ৯২ টাকায়।

এই পেট্রোলের দাম কিন্তু একেবারে ঠিক হয় বিশ্ব বাজারের দামের নিরিখে। যত টাকায় অপরিশোধিত তেল বিশ্ব বাজার থেকে আমদানি করে ভারত, তার ভিত্তিতেই গোটা দেশে নির্ধারিত হয় লিটার প্রতি দর।

অপরিশোধিত তেলকে কিনে এনেই যে সাধারণের জন্য পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র এমনটা নয়। আমরা যে পেট্রোল ব্যবহার করে থাকি, তা তৈরি হওয়ার আগে একাধিক প্রক্রিয়া চলে এই অপরিশোধিত তেলের উপর। তারপর গিয়ে সেখান থেকে পেট্রোল-ডিজেল তৈরি করে সাধারণের জন্য তা বাজারে ছেড়ে দেয় কেন্দ্র।

বলে রাখা ভাল, এই পরিশোধিত তেলের বাজারিকরণের সময় কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই তরফ থেকেই পেট্রোল-ডিজেলের উপর কর চাপানো হয়ে থাকে।

তবে সরকারই যখন এই তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে নিজেদের মার্জিনটাই বা কীভাবে রাখে পেট্রোল পাম্প?

অনেকেই জানেন না, পেট্রোল বা ডিজেল বিক্রি করে নির্দিষ্ট মার্জিনে কমিশন পেয়ে থাকে পাম্পগুলি। আর সেই কমিশনই হল তাদের মুনাফার জায়গা।

জানা গিয়েছে, পেট্রোল পাম্পের মালিকরা প্রতি কিলোলিটার অর্থাৎ ১ হাজার লিটারে ১৮৬৮ টাকা কমিশন পেয়ে থাকে। সহজ অঙ্কে, ১ লিটারে পেয়ে থাকে প্রায় ২ টাকা।