
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, একটা সময় যাঁকে নিয়ে দর্শক মনে ঝড় উঠতে দেখা যেত, একের পর এক হিট ছবি তিনি সকলকে উপহার দিয়েছেন।

উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে করেছেন অনেক ছবি। তবে সেই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় একটা সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন।

যখন তিনি প্রতম কলকাতায় আসেন, তখন তাঁর বয়স খুবই কম। সবটাই ঘটে ভীষণ কাকতালিয়ভাবে। তিনি নিজে অপুর সংসারে এসে সেই কাহিনি শুনিয়ে ছিলেন।

তাঁর জন্ম কুমিল্লায়। এদিকে বেড়ে ওঠা কলকাতায়। সাবিত্রী সেদিন সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছিলেন, আমি কিন্তু দেশ ভাগের জন্যে এখানে আসিনি।

আমাদের পাশের বাড়িতে টাইফয়েডের জন্যে একটি ছেলের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতায়। আমি তাঁদের সঙ্গে আসার বায়না ধরেছিলাম।

তিনি বলে চললেন, আমার বাবা মা চোদ্দ পুরুষের কেউ কলকাতা দেখেনি। কাজেই আমার ইচ্ছে ছিল আমি ট্রাম গাড়ি দেখব, বাসে উঠে বসব। আমি অনেক টাকা পেয়েছিলাম।

তাঁর কথায় আমার টাইফয়েড হয়েছিল একটা সময়। তখন ওষুধ খাবার জন্যে আমাকে অনেকে অনেক টাকা দিয়েছিল। সেগুলো জমিয়ে রেখে ছিলাম। সেখান থেকেই টাকা নিয়ে সকলকে দিয়ে বলি বাবাকে বোঝাতে।

ওনারা সাতদিনের জন্যে গিয়েছিলেন, তবে আমি আর ফিরিনি। বাবা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, আমাকে এখানেই রেখে দিদি। দিদির বাড়ি ছিল সেখানেই থেকে যাওয়া।