হিন্দু ধর্মে শাস্ত্রে আষাঢ় মাসে গুরু পূর্ণিমার দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়েছে। হিন্দু চবন্দ্র ক্যালেন্ডার মতে, এবছর ২১ জুলাই পালিত হচ্ছে গুরু পূর্ণিমা।এই দিনে শিক্ষাগুরুকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। এদিন শিষ্যরা শিক্ষক বা গুরুর আশীর্বাদ নিয়ে থাকেন। তাই এই দিনটি অন্যান্য দিনের থেকে বিশেষ।
পুরাণ অনুসারে, এই তিথিতে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই এই দিনটিকে গুরু পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। এদিন শিক্ষাগুরু আশীর্বাদ তো পাবেন , সঙ্গে লক্ষ্মী-নারায়ণের আশীর্বাদও পেয়ে থাকতে পারেন। তারজন্য এই বিশেষ দিনে বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চলা উচিত। তাতে জীবনের ভোলটাই পাল্টে যেতে পারে।
জীবনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গুরু পূর্ণিমার দিন হলুদের গিঁটের মালা পরতে পারেন। কিন্তু কীভাবে এই মালা ব্যবহার করবেন, কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত, এর গুরুত্ব কী, তাও জানা দরকার।
হলুদের গিঁটের জপমালার গুরুত্ব: হলুদ রঙ ভগবান বিষ্ণুর ভীষণ প্রিয়। হলুদের রঙকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হলুদের মালা পরলে গ্রহের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হলুদের মালা পরলে বৃহস্পতি গ্রহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হলে, হলুদের গিঁটের মালা পরতে পারেন। হাতেনাতে পাবেন ফল।
এদিন জীবনে উন্নতি করতে ও সৌভাগ্য উদয় করতে গুরু পূর্ণিমার দিন হল সঠিক ও বিশেষ দিন। হলুদের জপমালা পরার আগে শুভ সময়ের বিশেষ যত্ন নিন।
হলুদের গিঁটের মালা পরার আগে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করে নিন। এরপর জপমালা পরার সময়, "ওম নমো নারায়ণায়" বা "গুরুদেব ব্যোঁ নমঃ" মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করুন। অন্যদিকে, জপমালা পরার পর সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
কখনও খুলে ফেললে হলুদের মালা নোংরা বা অপরিষ্কার জায়গায় রাখবেন না। যখন কারওর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় লা শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে যাবেন, তখন এই মালা বাড়িতেই রেখে যান। বাড়ি ফিরে এসে নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য গঙ্গাজল মাথায় ছিটিয়ে দিতে পারেন। স্নানও করতে পারেন।
নিজেকে শুদ্ধ বা পবিত্র করার পর গঙ্গাজল দিয়ে জপমালাটিকে শুদ্ধ করা প্রয়োজন। তারপর সেই মালা বিশেষ মুহূর্তে আবার পরতে পারেন।