Benefits of Triphala Tea: বাহুবলীর মতো শক্তিশালী থাকে ইমিউনটি, তরতাজা রাখে সারাদিন! সকালে দুধ চা-গ্রিন টি নয়, বদলে খান এই সস্তার চা
Health Benefits: শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।সব রোগভোগ কাছে আসতে দেয় না। অনেকের প্রশ্ন, ত্রিফলা চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি সত্যিই বাড়ে? কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা। যার মধ্যে ডিটক্সিফাইং ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। প্রতিদিনের রুটিনে এই চা রাখলে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে পারেন আপনি।
সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিলেই মন-প্রাণ তরতাজা হয়ে যায়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বলা হয়, সকালের খাবার খাওয়া উচিত রাজার তো। তবে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম গরম দুধ চা বা গ্রিন টিতে চুমুক না দিলে সারাদিন শরীরটাই খারাপ করতে থাকে অনেকের।
শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।সব রোগভোগ কাছে আসতে দেয় না। অনেকের প্রশ্ন, ত্রিফলা চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি সত্যিই বাড়ে? কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা। যার মধ্যে ডিটক্সিফাইং ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। প্রতিদিনের রুটিনে এই চা রাখলে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে পারেন আপনি।
ত্রিফলা শব্দের অর্থ হল তিনটি ফল। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে একটি অপরিহার্য উপাদানও বটে। এই ত্রিফলা চা পান করা হলে কী কী উপকার পেতে পারেন, তা অনেকে জানেন না।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দারুণ উপকারী। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, হরিতকির মধ্যে রয়েছে ডিটক্সিফাইং গুণাবলী ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে মজবুত রাখার জন্য সুপরিচিত।
হরিতকি, আমলকি ও ভিবিটাকি, এই তিন ফলের সম্মিলিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি ফ্রি র্যাডিক্যালকে স্বাভাবিক রাখতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্রিফলা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ইমিউন সিস্টেমের সর্বোত্তম দাওয়াই বজায় রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া ত্রিফলার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শক্তিশালী ইমিউন প্রতিক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে ত্রিফলা চা বানাবেন? ত্রিফলা চা তৈরি করার জন্য কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যা মেনে চলা দরকার। প্রথমে কী কী দরকার তা জানা উচিত। ত্রিফলা গুড়ো ১ চা চামচ, ১ কাপ জল, স্বাদ অনুযায়ী মধু বা লেবু।
কীভাবে করবেন? প্রথমে এক কাপ জল নিয়ে মাঝারি আঁচে গরম ফোটাতে শুরু করুন। সুস্বাদু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য সবসময় পরিষ্কার ও তাজা জল ব্যবহার করা অপরিহার্য। জল ফুটে গেলে আভেন থেকে নামিয়ে রাখুন। ফুটন্ত জলের মধ্যে ত্রিফলা গুঁড়ো ফেলে দিন। ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
মেশানো হয়ে গেলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। ত্রিফলা গুঁড়োর যৌগগুলি জলের মধ্যে মিশে যায় তাতে। এবার চা ছেঁকে কাপে ঢেলে দিন। গরম গরম পান করুন। সব উপকার পাবেন হাতেনাতে।
