
হলুদ গুঁড়ো হোক কিংবা কাঁচা হলুদ, যদি রোজ খেতে পারেন, তাহলে অনেক ধরনের রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। কাঁচা হলুদ শুধুমাত্র রান্নাঘরের মশলা নয়, এটি একটি ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।

এতে কারকিউমিন রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে হলুদ। অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে যে, কোন হলুদ বেশি উপকারী? গুঁড়ো নাকি কাঁচা?

আসলে, দুটোই বেশ উপকারী। তবে বাজারে যে হলুদ গুঁড়ো পাওয়া যায়, তা ভেজাল হলেও হতে পারে। কিন্তু কাঁচা হলুদে সেই ভয় নেই। মেটাবলিজম বাড়ানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো পর্যন্ত এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

কাঁচা হলুদের উপকারিতা তখনই পাবেন, যখন আপনি এটিকে সঠিক উপায়ে খাবেন। তারই মধ্যে একটি হল কাঁচা হলুদের চা। আগে কখনও খেয়েছেন? না খেলে দেখুন বানাবেন কীভাবে?

কাঁচা হলুদের উপকার পেতে, আপনি চা বানিয়ে পান করতে পারেন। এতে আপনি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কারকিউমিন, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টি একসঙ্গে পাবেন।

ওজন কমানোর সময়ও কাঁচা হলুদ চা পান করা খুবই উপকারী। কাঁচা হলুদের চা বানাতে এক কাপ জল ফুটিয়ে তাতে কাঁচা হলুদ থেঁতো করে দিন। এর পর যখন হলুদের রঙে চায়ের রং বদলে যাবে। তারপরে ছেঁকে নিন।

কাঁচা হলুদের চা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনি যদি অনেকদিন ধরে গ্যাস, পেট ব্যথা, অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এই চা খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলুন।

কাঁচা হলুদ চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই চা পান করলে যে কোনও ঘা বা ক্ষত খুব দ্রুত সেরে যায়। এর পাশাপাশি মুখের দাগের দাগও কমতে পারে।