
কমলালেবুর কোয়া খেতে খেতে হঠাৎ বীজে কামড় দিলে মুখ তেতো হয়ে যায়। কমলালেবুর খেতে মিষ্টি হলেও বীজ তেতো হয় এবং খাওয়া যায় না। কিন্তু এমন নয় যে কমলালেবুর বীজের কোনও গুণ নেই।

শরীরের যত্ন নিতে এই বীজের ভূমিকা অনবদ্য। শরীর যত্ন কী ভাবে নেয় এই বীজ? শরীরের ক্লান্তি কাটাতে কমলালেবুর বীজ খুব উপকারী। শরীর চাঙ্গা করে তুলতে ভরসা রাখতে পারেন কমলালেবুর বীজে।

এই বীজে রয়েছে পালমিটিক, ওলেইক, লিনোলেইক অ্যাসিড। এই বীজ শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে সাহায্য করে। কমলালেবুতে তো বটেই, এর বীজেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।

শীতকালে সর্দিকাশি, জ্বর লেগেই রয়েছে। প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে এমন হয় মূলত। কমলালেবুর বীজ শীতকালীন সংক্রমণ ঠেকাতে পারে।

এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় শরীরে। ব্রণ, দাগছোপ, র্যাশ— ত্বকের সমস্যার শেষ নেই।

কমলালেবুর বীজে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। তার ফলে আমাদের শরীর হাইড্রেটেড ও তাজা থাকে। সার্বিক সুস্থতা বজায় থাকে। কমলালেবুর যে মিষ্টি গন্ধ, সেটা থাকে এর বীজেই।

তাই বীজ থেকে নেওয়া এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন কেকের মিক্সিংয়ে। এই এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন স্নানের জলে। কাজে লাগাতে পারেন ঘরবাড়ি থেকে দুর্গন্ধ দূর করতেও।

শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে দিতে পারে এই বীজ। শরীরের এই টক্সিন ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কমলালেবুর বীজের গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে খেলে ওজন কমে দ্রুত।