
জ্যৈষ্ঠ মাস প্রায় শেষ হতেই চলেছে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সামনেই পালিত হবে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা। তারপরই শুরু হবে আষাঢ় মাস। পূর্ণিমার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। তাই তাঁকে তুষ্ট করতে এদিন বাড়িতে লক্ষ্মী-নারায়ণের পুজো করার রীতি রয়েছে।

কথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিনে লক্ষ্মীকে খুশি করে আশীর্বাদ পাওয়াকে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। তাই পূর্ণিমা তিথিতে বিশেষ রীতিতে লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। শুধু তাই নয়, এদিন পুজো করে পুণ্য অর্জনের জন্যও পূর্ণিমা তিথিকে বিশেষ বলে মনে করা হয়।

পূর্ণিমার তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সংসার ভরপুর করতে গোলাপের কিছু সহজ প্রতিকার পালন করা উচিত। তাতে অর্থ সংকট কেটে গিয়ে সংসারে চুম্বকের মতো আসে টাকা-পয়সা।

ক্যালেন্ডার অনুসারে, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা ২১ ও ২২জুনে পড়ছে। আসলে, পূর্ণিমা তিথি ২১ জুন সকাল ৬টা ১ মিনিটে শুরু হবে ও ২২ জুন সকাল ৫টা ৭ মিনিটে শেষ হবে। পূর্ণিমা সংক্রান্ত পূজা ও উপবাস পালিত হবে ২১ জুন।

মনে করা হয়, পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মীকে গোলাপ ফুল অর্পণ করে পূজা করলে ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হয়। জীবনের কষ্ট ও সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এদিনে গোলাপের প্রতিকার মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

বারবার কঠোর পরিশ্রম করেও যদি ফল না পান, তাহলে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় হাতে তিনটি গোলাপ নিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে প্রার্থনা করুন। তারপর সেই গোলাপ জলে ডুবিয়ে দিন। কোনও বাধা ছাড়াই কাজ শেষ করবেন আপনি।

আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যায় পড়ে থাকেন বা ঋণের বোঝা বেড়ে যায়, তাহলে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিন প্রতিটি কোণে একটি করে সাদা কাপড়ে ৫টি লাল গোলাপ বেঁধে রাখুন। পঞ্চম গোলাপটি মাঝখানে রেখে বেঁধে দিন। তারপর নদীতে ভাসিয়ে দিন।

বাড়িতে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে পূর্ণিমা তিথিতে লাল রঙের গোলাপ নিবেদন করে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন। তাতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হয়ে প্রচুর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার রাতে একটি রূপোর পাত্রে কর্পূর ও কিছু লাল গোলাপের পাপড়ি জ্বালিয়ে দিন। দেবী লক্ষ্মীর সামনে রেখে নিজের সমস্যা দূর করার জন্য প্রার্থনা করুন।