
অনেকেরই স্বপ্ন থাকে পছন্দের কোনও দেশে গিয়ে ঘর বাঁধতে। তবে আমরা এটাও জানি, বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব কিছু নিয়ম রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশের ব্যাপারে, যেখানে নাগরিকত্ব পাওয়া যেতে পারে সেই দেশের পুরুষ কিংবা মহিলাকে বিয়ে করেই।

শুনতে অবাক লাগছে! এর সম্পর্কে জানলে আরও অবাক লাগতে পারে। বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে গিয়ে স্থানীয় কাউকে বিয়ে করলেই মিলতে পারে সেই দেশের নাগরিকত্ব।

নেদারল্যান্ডস-ইউরোপের এই দেশে রয়েছে সেই নিয়ম। নেদারল্যান্ডের কোনও পুরুষ কিংবা মহিলাকে বিয়ে করলে স্ত্রী কিংবা স্বামীর সঙ্গে তাঁর দেশে তিন বছর নির্দ্বিধায় থাকা যাবে। এমনকি সেই দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যও। পাকাপাকি নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অবশ্য পাঁচ বছর অন্তত থাকতে হবে।

ইউরোপের আরও একটি দেশ জার্মানিতেও রয়েছে এই নিয়ম। তবে শরণার্থী সমস্যার কারণে এই স্বপ্ন নাও পূরণ হতে পারে। তবে এখানকার কোনও নাগরিককে বিয়ে করলে সহজেই পাওয়া যেতে পারে নাগরিকত্ব। জার্মানির কোনও পুরুষ বা মহিলাকে বিয়ে করলে তিন বছরের মধ্যে শিখতে হবে জার্মান ভাষা। নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তিন বছর জার্মানিতে থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, এখানে জার্মান ভাষা শেখার জন্য টাকাও দেওয়া হবে।

আমেরিকার অন্তর্ভূক্ত এলকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিল। এখানে নাগরিকত্ব পাওয়া একেবারেই সহজ নয়। বিয়ের সেই নিয়মে সহজেই পাওয়া যাবে ব্রাজিলের নাগরিকত্ব। ব্রাজিলের কাউকে বিয়ে করলে এক বছরের মধ্যেই পাওয়া যেতে পার নাগরিকত্ব। আর যাঁরা ব্রাজিলের বাইরে থাকতে চান এবং সঙ্গে এই দেশের নাগরিকত্বও। তাঁকে অন্তত ৪ বছর থাকতেই হবে।

সুইৎজারল্যান্ডেও নাগরিকত্ব পাওয়া যেতে পারে সহজেই। ইউরোপের এই স্বপ্নের দেশের নাগরিকত্ব পেতে সেখানকার কাউকে বিয়ে করাই যথেষ্ট। সেখানে শুধুমাত্র চাকরিসূত্রে থাকা নাগরিকদের জন্য সুইস নাগরিকত্ব পাওয়া যথেষ্ট কঠিন। কাজের জন্য আইনশৃঙ্খলা মেনে অন্তত পাঁচ বছর এবং এ দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে তিন বছরেই মিলতে পারে সুইৎজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব।

ইউরোপের আরও একটি দেশ স্পেনেও রয়েছে এই আইন। সেখানকার কোনও নাগরিককে বিয়ে করলে এবং এক বছর সরকারকে ট্যাক্স দিলে অটোমেটিক্যালি নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবে।

আলাদা করে বলতে হয় মেক্সিকোর কথা। এই দেশের নাগরিকত্বই নয়, আরও বড় সুযোগ রয়েছে। মেক্সিকোর কোনও নাগরিককে বিয়ে করলে এবং সেখানে ২ বছর থাকলেই পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মেকিস্কান পাসপোর্ট পাওয়ারও যোগ্য। এই পাসপোর্টের মাধ্যমে কোনওরকম ভিসা ছাড়াই যাওয়া যাবে ১৩৪টি দেশে! সব ছবি: TV9 Network