
স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তিল অসংখ্য় হয়ে গেলে তা বিপদসঙ্কেত। হতে পারে ক্যানসার। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শরীরে বিভিন্ন জায়গায় তিলের অবস্থানই একজন মানুষের স্বভাব-চরিত্র ও ভাগ্য বলে দিতে পারে। সমুদ্রশাস্ত্রে শরীরে তিলের অবস্থান নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

শরীরের ভিন্ন জায়গায় তিল দেখে একজনের জীবন সম্পর্কে সব কিছু জানা সম্ভব হয়। সামদ্রিক শাস্ত্রেও শরীরে তিলের গুরুত্ব নিয়ে উল্লেখ রয়েছে। শরীরের কোন কোন জায়গায় তিল থাকলে কী কী হতে পারে. তা জানা দরকার। এমনকি তিলের প্রভাবে একজনের ভাগ্যও খুলে যেতে পারে।

দেহে তিল থাকাও শুভ বা অশুভ হিসেবে বর্ণনা করা রয়েছে সমুদ্রশাস্ত্রে। দেহে তিল বা আঁচিলের রঙেরও প্রভাব রয়েছে। কালো বা লাল রঙের তিল থাকলে কী কী হতে পারে? সমুদ্রশাস্ত্র মতে, শরীরে লাল রঙের তিল থাকা শুভ বলে মনে করা হয়। লাল তিল হল সম্পদ, প্রভাব, সমৃদ্ধি ও সুখের প্রতীক।

কপালে তিল: কপালের বাম দিকে তিল থাকলে সমুদ্র শাস্ত্র অনুসারে অশুভ। কপালে তিল থাকলে নিজের সম্পর্কে বেশি ঢাক পেটাতে পারেন। অন্যের কথা ভাবার আগে নিজের কথা বেশি চিন্তা করেন। স্বার্থপর মনোভাবের এই মানুষরা অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কর্মক্ষেত্রে অপমান সহ্য করতে পারেন।

ভ্রুতে তিল: সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে, কারওর কপালের বাম দিকে তিল থাকলে ব্যবসা ও চাকরি, উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সাফল্য পেতে বহুবার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের। এমনকি কর্মক্ষেত্রে সবসময় সব কাজের পর উদ্বিগ্ন প্রকাশ করতে হয়।

ঠোঁটে তিল: কারওর ঠোঁটে তিল থাকলে, তাঁকে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে। সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, স্থূলতা ও স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বারবার। ঠোঁটে তিলের উপস্থিতি রোমান্টিক ও যৌন চাহিদার ইচ্ছা প্রকাশ পায়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বুকের ডানপাশে তিল থাকলে টাকাপয়সা আসে হু হু করে। বুকের মাঝে বা ভাঁজে তিল থাকলে জ্যোতিষশাস্ত্রমতে, তাঁরা অত্যন্ত সাহসী হন। ভাল পিতা-মাতা হিসেবেও গণ্য হন তারা।

সামুদ্রিক শাস্ত্রে উল্লেখ আছে, নাকে ও বাম চোখে তিল থাকলে তিনি অত্যন্ত আত্মমর্যাদাশীল হন। নিজেকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পছন্দ করেন তারা। সবকিছুতেই নাক উঁচু করার চেষ্টা করে। ভাবনাচিন্তা থাকে সবার উপরে।

এই শাস্ত্রে বলা হয়েছে, কাঁধের নীচে তিল থাকলে সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। জীবনে অনেক লড়াই করতে হয়। ছোটখাটো সাফল্য পেতেও অনেক সংগ্রাম করতে হয়। পিঠে তিল থাকলে কিছুটা অলসও হন তাঁরা। একটু দেরি করে কাজ করতেও তারা পছন্দ করেন।