
সনাতন ধর্মে অনেক জিনিসের জন্য রয়েছে বিভিন্ন নিয়ম। তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রের নানা নিয়ম। সেগুলি সঠিক পথে নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও দুঃখ-কষ্ট ফিরে আসে না। সনাতন ধর্মে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে প্রতিকার রয়েছে, যা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ করে।

বাস্তুশাস্ত্রে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিসের জন্য নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেগুলি মেনে না চললে জীবনে ধেয়ে আসে সমস্যার ঝড়। প্রবীণরা এ বিষযে মাথায় রেখে ছোটদের জন্য নানা কাজ করতে বাধা দেন। কারণ নানা কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য।

সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে কেনাকাটা করলে সৌভাগ্য ফিরে আসে। তার মধ্যে জুতা ও চপ্পল কেনাও অন্যতম। বাস্তুশাস্ত্র মতে, একটি নির্দিষ্ট দিন রয়েছে, যেদিন জুতা ও চপ্পল বাড়িতে আনা অশুভ বলে মনে করা হয়। কোন দিন জুতা ও চপ্পল কেনা উচিত নয়, জেনে নিন এখানে...

জ্যোতিষীর মতে, বাস্তুশাস্ত্রে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা কেনা নিষিদ্ধ। তার মধ্যে চটি বা চপ্পল অন্যতম। প্রত্যেক ব্যক্তি সুবিধা ও প্রয়োজন অনুসারে জুতা ও চপ্পল কেনেন, তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, অমাবস্যা, মঙ্গলবার, শনিবার বা গ্রহণের দিনে জুতা ও চপ্পল কেনা এড়িয়ে চলুন। দুর্ভাগ্যও বয়ে নিয়ে আসে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিকে পায়ের সঙ্গে জড়িত মনে করা হয়, তাই শনিবার জুতা ও চপ্পল কেনা উচিত নয় বলে বলা হয়। শনিবার জুতা ও চপ্পল কিনলে যে কোনও ব্যক্তির উপর শনির কোপ আছড়ে পড়তে পারে। অসন্তুষ্ট হয়ে শনিদেবের কোপে ঘরে দুঃখ ও দারিদ্র্য বয়ে নিয়ে আসে।

বাস্তুশাস্ত্র নতুন চটি-জুতো কেনা এবং পরার সঠিক দিনের কথা উল্লেখ রয়েছে। শুক্রবারে নতুন জুতা ও চপ্পল কেনা ও রাখা নতুন জুতা ও চপ্পল শুক্রবারে পরা সবচেয়ে বেশি উত্তম বলে মনে করা হয়।

বাস্তুশাস্ত্রে পুরনো বা অব্যবহৃত চটি ও জুতো ফেলে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। মনে করা হয়, পুরনো চটি ও জুতো শনিবার শনি মন্দিরের বাইরে রেখে দেওয়া উচিত। শনির কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বেডের নিচে কখনও জুতো রাখা উচিত নয়। বিছানায় শুয়ে থাকা ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে চির ধরতে পারে।